ট্রেনের নিচে শুয়ে বাঁচল প্রাণ, শেষে কাজই ছাড়তে চাইলেন RPF কর্মী!

ঘটনায় শারীরিক আঘাত যতটা, তার থেকে অনেক বেশি মানসিক আঘাত পেয়েছেন মিথিলেশ কুমার। কোনওক্রমে যেন মৃত্যুকে হারিয়ে দিতে পেরেছেন

ব্যস্ত স্টেশন ব্যান্ডল। মেল এক্সপ্রেস ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মিথিলেশ কুমার প্রতিদিনের মতই ট্রেন আসার পরে পরীক্ষা নীরিক্ষার কাজ করছিলেন। হঠাৎই শুরু হয় ট্রেনের চাকা গড়ানো। সহকর্মীরা মিথিলেশের প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার শুরু করেন। দীর্ঘদিন রেলে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে কোনওক্রমে রেলের দুই লাইনের মাঝে শুয়ে পড়েন তিনি। আর তারপর সবটাই প্রবল আতঙ্কের ছবি।

সম্প্রতি রেলের সমন্বয়ের অভাব, পরিকাঠামোর অপব্যবহারের বহু ছবি উঠে এসেছে। যেখানে বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছেন রেলযাত্রীরা। এবার সেই গলদের শিকার হলেন রেলেরই আরপিএফ কর্মী। এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরার নিচের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছিলেন তিনি। সেই সময় ট্রেনটি চলতে শুরু করে দেয়। সামান্য আহত হলেও ট্রেনের নিচে শুয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান। সহকর্মীরা দূর থেকে তাঁকে ওইভাবে শুয়ে থাকার জন্য মনের জোর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ ট্রেন থামানোর জন্য তাঁদের চিৎকারে কর্ণপাত করেননি ট্রেনের চালক বা গার্ড।

যদিও আরপিএফ কর্মীদের একাংশের দাবি, নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা ছাড়াও যান্ত্রিক সমস্যা দেখভাল করছিলেন মিথিলেশ। যা তাঁর কাজই নয়। কেন এভাবে আরপিএফ কর্মীকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল, প্রশ্ন তুলেছেন আরপিএফ কর্মীদের একাংশ।

এই ঘটনায় শারীরিক আঘাত যতটা, তার থেকে অনেক বেশি মানসিক আঘাত পেয়েছেন মিথিলেশ কুমার। কোনওক্রমে যেন মৃত্যুকে হারিয়ে দিতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু মৃত্যুকে যেভাবে সামনে থেকে তিনি দেখলেন, তা ভুলতেই পারছেন না। ফলে আর কাজে ফিরতে চাইছেন না তিনি। তাঁর মানসিক স্থিতি স্বাভাবিক করতে তাঁকে কিছুদিনের বিশ্রামও দেওয়া হয়েছে।

Previous articleবাড়িতে বসেই চলত লোক ঠকানোর কাজ! কলকাতায় বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস, গ্রেফতার ৬
Next articleফের বিয়ে করছেন স্নেহাশিস, দাদার প্রীতিভোজের আমন্ত্রণপত্রে সৌরভ-ডোনার নাম!