তথ্য প্রযুক্তি (IT Sector) কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ! হ্যাঁ, এবার দৈনিক ১৪ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাব দিল কর্নাটকের (Karnataka) তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। যা নিয়ে ইতিমধ্যে জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছে বলে খবর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই বিষয়টি সামনে এসেছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কর্নাটক সরকার দোকান ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নিয়মে বদলের কথা ভাবছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই এবার তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কাজের সময় ১৪ ঘণ্টা যেন করা হয়। এর মধ্যে ১২ ঘণ্টা কাজের শিফট (Work Shift) এবং ২ ঘণ্টা ওভারটাইম (Overtime)। যদিও এমন প্রস্তাবের বিরোধিতায় ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীরা। যদিও এই মুহূর্তে শ্রমিক আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা (১০ ঘণ্টা শিফট এবং ২ ঘণ্টা ওভারটাইম) কাজের কথা উল্লেখ থাকলেও তাকে অগ্রাহ্য করেই বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। আর তার জেরেই কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ কর্মীদের।

নয়া প্রস্তাবে সাফ জানানো হয়েছে, আইটি, আইটিইস ও বিপিও-র কর্মীদের দিনে ১২ ঘণ্টার বেশি কাজের অনুমতি দিতে হবে। তবে কোনওভাবেই তা পরপর তিন মাসের নিরিখে ১২৫ ঘণ্টা অতিক্রম করবে না। ইতিমধ্যে প্রস্তাব পেশ করা হলেও কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকারে নাকি এই নিয়ে প্রাথমিক বৈঠকও সেরে ফেলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। খুব শীঘ্রই মন্ত্রীসভায় তা আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু কর্ণাটক সরকারের নয়া প্রস্তাবে তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের মাথায় হাত। ইতিমধ্যে ছাঁটাই ও স্বাস্থ্য ইস্যু নিয়ে সরব কর্মীরা। তবে এমন প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব কর্ণাটক স্টেট আইটি, আইটিএস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন তথা কিটু। সংগঠনের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে এক তৃতীয়াংশ কর্মীই চাকরি ছেড়ে দেবেন।

এখানেই শেষ নয় কিটুর তরফে আরও জানানো হয়েছে, নয়া বিজ্ঞপ্তির কথা জানাজানি হতেই তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরের ৪৫ শতাংশ মানুষ অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি ৫৫ শতাংশ কর্মীদের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। নয়া বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হলে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হতে পারে।
