ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে এলেন বাগদার নব নির্বাচিত বিধায়ক তথা মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুর। সংবাদ মাধ্যমকে মধুপর্ণা বলেন, “প্রথমত আমি ধন্যবাদ জানাব যে এত কম বয়সে আমাকে এত বড় সুযোগ দিয়েছে যে, আমি এখানে এসে এই শহিদ দিবসের মঞ্চে উঠতে পারব। এর থেকে বড় পাওনা আমাদের হরিগুরুচাঁদের হয় না। এত কম বয়সে এতদূর এগোতে পেরেছি, এটাই সব থেকে বড় পাওনা।”
এদিনের বক্তাদের তালিকায় চার নম্বরে ছিলেন মধুপর্না।
এদিন বক্তব্য রাখতে উঠেই মধুপর্ণা ঠাকুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন। বাগদার প্রতিটি মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অগ্নিকন্যা সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, “বাগদার উন্নয়নের লড়াই করার জন্য তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব আমার। বিজেপিকে প্রশ্ন, নারীশক্তি কি শুধু ভোটের জন্য? বিজেপির কোনও ক্ষমতা নেই। মমতার সঙ্গে লড়াই করার কোনও ক্ষমতা নেই।” এদিনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী তথা তাঁর দাদা শান্তনু ঠাকুরকেও একহাত নেন মধুপর্ণা।
রাজনীতির ময়দানে নেমেই চমক দিয়েছেন মধুপর্না। মাত্র ২৫ বছর বয়সে ভোটে নেমেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন মধুপর্ণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাগদা ‘উপহার’ দিয়েছেন। রাজ্য বিধানসভার কনিষ্ঠতম বিধায়ক তিনি। দেশের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়কের তকমাও তাঁর।বিজেপির বিনয় কুমার বিশ্বাসকে ৩৩ হাজাররও বেশি ভোটে হারিয়েছেন মধুপর্ণা। জানা গিয়েছে, তিনি ১ লক্ষ ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। মধুপর্ণা ঠাকুর তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য মমতা ঠাকুরের মেয়ে।
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের ফল উপভোগ করার, কিন্তু আত্মতুষ্টি নয়: ‘জাগো বাংলা’য় বার্তা অভিষেকের