“বিজেপি ভোটই করাতে জানে না”, রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে দাবি দিলীপ-অর্জুনের

একুশের বিধানসভা ভোটে দুশোর ধুয়ো তুলে থামতে হয়েছিল ৭৭-এ! আর এবার লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে টার্গেট ছিল ৩৫। কিন্তু ১২-তে বান্ডিল। ৬টি আসন কমেছে ২০১৯’র থেকেও। এমন ফলাফলের পর ফের বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরে ঠাণ্ডা লড়াই। রাজ্য নেতৃত্বকে নিশানা করলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

বিষ্ণুপুরে দলীয় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে লোকসভায় খারাপ ফলের জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। সুর চড়িয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “আমরা সংগঠন করতে জানি। আন্দোলন জানি। কিন্তু, ভোট করাতে জানি না।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে। দিলীপকে সরাসরি সমর্থন করেছেন বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর কথায়, “ভারত মাতা কী জয় বলে স্লোগান দিতে জানে। মিছিল করতে পারে, কিন্তু বিজেপি ভোট করাতে পারে না। দিলীপ ঘোষ ঠিকই বলেছেন, আগে সংগঠন করতে হবে। তারপর তো তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই!”

পরাজয় নিয়ে বঙ্গ নেতৃত্বের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেও, দিলীপ ঘোষের গলায় ছিল আক্ষেপের সুরও। তিনি বলেন, “২০২১ সালে সবাই বলেছিল, আমাদের সরকার হবে। কিন্তু, তা হয়নি। তার মানে, কোথাও ফাঁক আছে। অভিজ্ঞতা কম আছে। প্রত্যেক নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আগামীতে কী করে ভালো ফল করা যায়, তা শিখতে হবে।” এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তীব্র শ্লেষ, “পার্টিতে এসে পদ পেয়েছি, ডেকেছে বলে ঘুরতে এসেছি, এমনটা নয়। ভারতীয় জনতা পার্টি একটা আদর্শ নিয়ে চলে। আমরা ভোট করাতে জানি না। ভোট কীভাবে করাতে হয়, তা জানতে হবে। শিখতে হবে।”

অন্যদিকে, রাজ্য নেতৃত্বকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলে অর্জুন সিংয়ের দাবি, “আমি দেখেছি, তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের সদস্যই বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। কেউ আবার বুথ সভাপতি। ভোটের দিন পাত্তা পাওয়া যায় না। কী করে ভোট হবে! ভোট করাতে হয়। আর সেটা বিরোধীদের থেকে শিখতে হয়।” এখানেই থেমে থাকেননি অর্জুন। তিনি আরও বলেন, “আমি এটাও দেখেছি, যিনি সভাপতি, তিনি একটা বুথের দায়িত্বে। তাঁর বাড়ির লোক পাশের বুথের দায়িত্বে। এভাবে পরিবারের চার-পাঁচজন মিলে চার-পাঁচটা বুথ সামলাচ্ছেন। এভাবে সংগঠন হবে? সংগঠনটা কোথায়!”

আরও পড়ুন: দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে আজ পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী 

 

 

Previous articleফের উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর, ভোররাতে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর জখম জওয়ান!
Next articleকুর্সি বাঁচাতে চন্দ্রবাবু-নীতিশকে তোষণের বাজেট!অন্ধ্র-বিহারের প্যাকেজকে কটাক্ষ কুণালের