বাংলা ভাগের ‘অবাস্তব’ প্রস্তাব দিয়ে বিজেপিতেই কোণঠাসা সুকান্ত

বাংলা ভাগের প্রস্তাব দিয়ে দলের মধ্যেই কোণঠাসা বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mujumder)। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের আটজেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন সুকান্ত। এই প্রস্তাবকে ‘অবাস্তব’ বলে নাকচ করে দেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা (Bishnu Prasad Sharma)।সংসদে বাজেট অধিবেশন চলছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য ভাগের কথা না বলেও ঘুরিয়ে বাংলা ভাগের প্রস্তাব দেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। উত্তরবঙ্গের আটজেলাকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি। এই নিয়ে বিরোধীরা যখন সরব তখন সুকান্তকে নিশানা করলেন তাঁর দলেরই বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ। বৃহস্পতিবার, বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এটা একটা অবাস্তব ধারণা। এটা কোনও দিনই হবে না।” ব্যাখ্যা দিয়ে বিষ্ণুপ্রসাদ জানান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ (NEC)-এর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সিকিমের বিশেষ আইন আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা নেই। কোনও রাজ্যের অর্ধেক অংশ কখনও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের অংশ হতে পারে না। সাফ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।

এরপরেই সরাসরি রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন সুকান্ত।” বিজেপি সাংসদকে সরাসরি আক্রমণ করে দলীয় বিধায়ক বলেন, “২০২৪-এর ফলে তিনি একটু হতাশ রয়েছেন। ২০২৬-এ উত্তরবঙ্গ হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে ভেবে উনি সেখানকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।”

নিজের অবস্থান জানিয়ে বিষ্ণপ্রসাদ সরাসরি বলেন, “আমি বিজেপির বিধায়ক হয়ে বলছি, আমি এটা মানব না।”

তবে, আজ থেকে নয় আগেও রাজ্য নেতৃত্বের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিষ্ণুপ্রসাদ। লোকসভা ভোটে দার্জিলিং কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে রাজু বিস্তার নাম ঘোষিত হলে প্রকাশ্যেই তাঁর বিরোধিতা করেন তিনি। এমনকী, নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইও করেন। রাজু বিস্তার জয়ের পড়ে অবশ্য বিষ্ণুপ্রসাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি গেরুয়া শিবির। এবার ফের জলের রাজ্য সভাপতির বিরোধিতা করলেন তিনি।

তবে, পরিস্থিতি সামল দিতে নেমেছেন বিজেপি মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “রাজ্য বিজেপি বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে। এটাই দলের অবস্থান। অন্য কোথায় কে কী বললেন, তার দায় দলের নয়।” সুকান্তর (Sukanta Mujumder) প্রস্তাবের দায় নিচ্ছেন না শমীক। বিজেপি হারের দায় নিচ্ছেন না শুভেন্দু। দলে কি ক্রমশ একলা হয়ে যাচ্ছেন সুকান্ত? তাঁর মন্তব্য অবশ্য এখনও জানা যায়নি।






Previous articleদুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো! অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা কেন্দ্রের
Next articleঝাড়খণ্ড নিয়ে ‘হিন্দুত্বের বিকৃত মার্কেটিং’ নিশিকান্তের, লোকসভার বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূল