Wednesday, December 3, 2025

পরাজয়-গো.ষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে বঙ্গভঙ্গের উ.স্কানি, কুণালের নিশানায় বিজেপি

Date:

Share post:

বিজেপি পরাজয় এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে এই বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দিয়ে ফের বাজার গরম করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সাফ জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, সুকান্ত মজুমদার নরেন্দ্র মোদির কাছে গিয়েছিলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে। কার জন্য হার সেই দায় চাপানো নিয়ে নালিশ জানাতেই দিল্লি যাত্রা বলে আমরা জানতে পেরেছি।

কুণাল বলেন, সুকান্ত মজুমদার হারের পুরো দায়ভারটা শুভেন্দুর ওপর চাপিয়ে দিয়ে এসেছেন। আর সঙ্গে একটা চিঠি দিয়েছেন। আর বাইরে সেই চিঠিটা নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আসলে উত্তরবঙ্গকে তারা ভাগ করার চেষ্টা করছেন, উস্কানি দিচ্ছেন। অবাস্তব সব ফর্মুলা বলছেন, যেগুলোর সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলার মানুষ পাহাড় থেকে সাগর এক- ঐক্যবদ্ধ- অটুট বাংলা চান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উত্তরের জেলাগুলিতেও ঢালাও উন্নয়ন চলছে। কুণাল বলেন, পাহাড় শান্ত, পর্যটন শিল্প চাঙ্গা, পাহাড়ে পর্যটকে ভরে আছে। এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু তার সভাপতিত্বে দল হেরেছে, সাংসদ কমে গিয়েছে , সে দিক থেকে নজর ঘোরাতে সব দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার হন বা অনন্ত মহারাজ, তারা বঙ্গভঙ্গের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। স্পষ্ট জানাচ্ছি, নিজেদের দোষ ঢাকতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা দিতে, নজর ঘোরাতে এই বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।

বাংলার মানুষ উত্তরবঙ্গের মানুষ আরও বেশি করে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবে। বিজেপি দিশাহীন। কুণাল মনে করিয়ে দেন, সিপিএমের জামানায় পাহাড়ে কেউ উঠতে পারত না। পাহাড়ের জঘন্য অবস্থা ছিল, চা বাগানের অবস্থা ছিল শোচনীয়। পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পাহাড় আবার হাসছে। অর্থনীতি চাঙ্গা, পর্যটন শিল্প রমরম করে চলছে, শুটিং হচ্ছে। সবমিলিয়ে পাহাড় এখন ফের নিজের জায়গায় নিজের ছন্দে ফিরেছে।
চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নয়ন, পরি কাঠামোর উন্নয়ন, স্কুল-কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি, সব এই সরকারের আমলে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে নজর ঘোরাতে বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দিচ্ছে। এগুলো বিজেপির দিশাহীন রাজনীতির পরিণাম। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য, দৃষ্টি ঘোরাতে বিজেপির একেক জন একেক রকম কথা বলছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস উত্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আরও উন্নয়ন করার কাজ করছে। বিজেপি যত এই সুরে কথা বলবে, আরও বেশি করে হারবে বলে সাফ জানান কুণাল। তিনি বলেন, বিজেপির নেতারা যে বাংলা থেকে রাজনীতি করেন, সেই বাংলাকে যখন কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দেয় না, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হচ্ছে। তখন কিন্তু তাদের মুখে কোনও কথা নেই। বাংলায় যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, বন্যা হয়, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা তো বিজেপি নেতাদের মুখে নেই। বিজেপি নেতারা সরব হন শুধুমাত্র নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে।

 


 

spot_img

Related articles

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে বিশেষভাবে সক্ষমদের সুবিধার্থে বিশেষ প্রকল্পের কথা স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস(International Day of Persons with Disabilities) হিসেবে পালিত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ১৯৯২ সাল...

‘স্মৃতি’ হারিয়ে ভক্তিপথে পলাশ! প্রেমানন্দজী মহারাজের আশ্রমে হাজির বলিউড সুরকার

ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানের (Smriti Mandhana) সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিয়ের...

ভাঙন রোধে মোদি সরকার কিছু করেনি, ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য: মালদহে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী

মালদহ ও মুর্শিদাবাদের প্রধান সমস্যা গঙ্গা-ভাঙন। কিন্তু সেই ভাঙন (Erosion) রোধে কিছুই করেনি কেন্দ্রে বিজেপি (BJP) সরকার। বুধবার...

বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ তৃণমূলের, খতিয়ান তুলে কেন্দ্রকে তোপ দোলার 

১০০ দিনের কাজ গ্রামীন আবাস যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে প্রাপ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এর...