নীতি আয়োগ তুলে ফিরিয়ে আনতে হবে প্ল্যানিং কমিশন: দিল্লিতে দাবি মমতার

মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, দেশে আগামী দিনে যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেসব জায়গায় বিরোধীরা ভাল ফল করবে

মুখ দেখানো আর ছবি তোলা ছাড়া নীতি আয়োগের (NITI Aayog) কোনও কাজ নেই, দিল্লিতে বসে দাবি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে মোদি সরকারের ঘটা করে তৈরি করা কমিটিকে তুলে দিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তৈরি যোজনা কমিশনকে (Planning Commission) ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। দিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, প্ল্যানিং কমিশনের বৈঠকে একটা সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারা কাজ করত, সকলের একটা ধ্যান-ধারণা ছিল। কিন্তু নীতি আয়োগে সেসবের কোনও বালাই নেই। তাই স্বাধীনতার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তৈরি প্ল্যানিং কমিশনকে অবিলম্বে ফেরানো দরকার।

শনিবার বিরোধী দল পরিচালিত সব রাজ্যের দাবির বিষয়েই নীতি আয়োগের বৈঠকে সরব হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি রওনা দেওয়ার আগেই সেকথা জানিয়েছিলেন তিনি। বাজেটে যেভাবে বিরোধী রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার দাবিও দিল্লিতেই জানান মমতা। তিনি বলেন, বিজেপিকে ঠেকাতে আঞ্চলিক দলগুলিকে আরও বেশি করে উঠে আসতে হবে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, দেশে আগামী দিনে যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) রয়েছে, সেসব জায়গায় বিরোধীরা ভাল ফল করবে। তিনি জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিয়ে তিনি যে খুবই চিন্তিত, সে-কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময়ের অভাবে সশরীরে গিয়ে দেখা করতে না পারলেও ফোনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাবা-মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে এদিন স্পষ্ট বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, অনেকে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু আমি যা বলেছি, তাতে ভুল কিছু নেই। ইউএন (United Nations) রেজোলিউশন অনুযায়ী আমি কথা বলেছি। আমি মানবিকতার খাতিরেই ওই কথা বলেছি। কেউ যদি অসহায় হয়ে আশ্রয় চায়, আমি আশ্রয় দেব। ওরাও তো তিস্তা বৈঠকের সময় রাজ্যকে ডাকেনি। সিস্টেমটা আগে নিজেদের ভাল শেখা উচিত। আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কিছু বলিনি।

তবে বিজেপি যেভাবে বাংলাদেশ মন্তব্য নিয়ে বাংলাকে কোণঠাসা করতে চাইছে তাতে তারা সফল হবে না। এমনকি যেভাবে রাজ্যভাগের রাজনীতিতে বাংলাকে দুর্বল করতে চাইছে বিজেপি, তাও সফল হবে না, স্পষ্ট করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনও অবস্থাতেই বাংলা ভাগ হতে দেব না। কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও এদিন ফের সরব হয়েছেন তিনি। বলেন, বাংলা-সহ বিরোধী রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। একশো দিনের কাজের টাকা ও আবাসের টাকা কেন্দ্রের দেওয়ার কথা থাকলেও রাজ্য সরকারই দিয়েছে। কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়াই করবে, সাফ কথা নেত্রীর।

Previous articleবিরোধীদের আইফোন হ্যাক নিয়ে কী পদক্ষেপ কেন্দ্রের, রাজ্যসভায় সরব রাঘব
Next articleউন্নত ধানের গবেষণায় আলোকপাত করল ‘বেঙ্গল রাইস কনক্লেভ’ ২০২৪