বেআইনি দখলদারি রুখতে কড়া রাজ্য! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো মাস ঘুরতেই প্রস্তুত রিপোর্ট

নজরে নাগরিক পরিষেবা! আর সেই পরিষেবা থেকে যাতে শহরবাসী বঞ্চিত না হন সেকারণে বড় উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শহরের বিভিন্ন ফুটপাতে বা সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তায় ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছিল একাধিক দোকান। সময় যত গড়াচ্ছে, রাস্তার পাশে হকারদের (Hawker) রীতিমতো দাদাগিরির জেরে অতিষ্ঠ হওয়ার জোগাড় শহরবাসীর জনজীবন। তবে বিষয়টি নজরে আসার পরই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই জবরদখল রুখতে হকার অভিযান এক মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কমিটি গঠন করে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এক মাসের মধ্যে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দেওয়ার। সেইমতো শনিবার এক মাস পূর্ণ হতেই সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়বে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দফতরে। ইতিমধ্যে সেই সমীক্ষা রিপোর্ট (Survey Report) তৈরিও হয়ে গিয়েছে বলে খবর।

সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন প্রান্তের হকারদের থেকে ইতিমধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ফর্মে যাবতীয় তথ্য লেখা হয়েছে বলে খবর। প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা শেষের পর এবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে সেই বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হবে। তবে নবান্নের বৈঠক থেকেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকে নিয়ে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কলকাতা পুলিশের সাহায্য নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলে অভিযান। শনিবার সেই রিপোর্ট কলকাতা পুরসভায় ফিরহাদ হাকিমের দফতরে জমা পড়ার কথা।

অন্যদিকে, শনিবার থেকেই ফের শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের সমীক্ষার কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময় মেনেই প্রথম পর্যায়ের সমস্ত কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

Previous articleনীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠরোধ, প্রতিবাদে সরব এমকে স্ট্যালিন
Next articleপরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এখনই চালু হচ্ছে না কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস