কড়া অবস্থান শাসকদলের। সমাজবিরোধী দলে কোনও স্থান নেই। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কড়া বার্তার পরে সতর্ক নেতারাও। সমাজবিরোধীদের নিয়ে কড়া অবস্থান জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray)। আরও একধাপ এগিয়ে অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami) বলেন, “সবাই খারাপ বলছি না। ২-১জন যদি এমন থাকে তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ময়দানে নেমে পড়েছেন।“
আর সৌগতের থেকে একধাপ এগিয়ে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ”সকলে খারাপ বলছি না। দু-এক জন যদি এ রকম থাকেন, তাঁদের জন্য সতর্কবাণী। অভিষেক ময়দানে নেমে পড়েছেন। আপনি যদি মনে করেন, পাড়ার হোমরাচোমরা প্রধান হয়েছেন, লেজ মোটা হয়ে গিয়েছে, কেউ কাটতে পারবে না, তা ঠিক নয়। অভিষেক কিন্তু কাঁচি দিয়ে লেজ কুচ করে কেটে দেবেন। মা বলার সময় পাবেন না। মানুষের অধিকার মানুষকে দিতে হবে।” তিনি জানান, বাগদায় বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি দেখেছেন, দলনেত্রী মমতা বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের অভিযোগ নেই। কিন্তু কয়েকজন নেতার জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিধায়কের কথায়, ”জমি দখল করে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। তৃণমূল মানে পরিষেবার প্লাটফর্ম। করেকম্মে খাওয়ার জন্য যাঁরা দলে রয়েছেন, তাঁদের দিন শেষ। আমার নেতা অভিষেক এ কথা বলেছেন। সুতরাং সমঝে যান।”
২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেতাদের সরল জীবনযাপনের পরামর্শ দেন দলনেত্রী। স্পষ্ট জানান, ”বিত্তবানদের নয়, বিবেকবানদের দল হতে হবে তৃণমূলকে। আমি দলে বিত্তবান লোক চাই না। বিবেকবান লোক চাই। কেন জানেন? পয়সা আসে, চলে যায়। কিন্তু সেবার কোনও বিকল্প নেই।” এ বার দলনেত্রীর কথারই অনুরণন শোনা গেল দুই নেতার কণ্ঠে।
