লাগাতার বৃষ্টিতে ভয় ধরাচ্ছে হিমাচল-উত্তরাখণ্ড! কেদারনাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, হড়পা বানে ভাসল সিমলা

সময় যত গড়াচ্ছে ততই বিপদ বাড়ছে হিমাচল প্রদেশে‌ (Himachal Pradesh)। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের সিমলা, মান্ডি এবং কুলু জেলা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ৬০ জন‌‌। এদিকে লাগাতার বৃষ্টি ও ধসের জেরে ইতিমধ্যে বহু ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ভেঙে। তবে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ কুলু এবং মান্ডির। ওই দুই জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করে সমস্ত স্কুল এবং কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার ভোরের এই বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে কুলুতে একাধিক বাড়ি ভেঙে পার্বতী নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের আবহাওয়া দফতর থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কিন্নর, লাহুল ও স্পিতি ছাড়া বাকি সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সিমলা, কুলু, সোলান, সিরমোর ও কিন্নর জেলায় হড়পা বান ও ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টির জেরে বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে কুলুর বিপাশা নদী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। কুলুতে বিপাশা নদী কুলু-মানালি জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে। এমন পরিস্থিতিতে ৩ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ধস নামায় ৯টি বাড়ি চাপা পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে একটি বাড়ির গোটা পরিবার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এছাড়া সিমলায় হড়পা বানে ২০ জন ভেসে গিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের দেবভূমি কেদারনাথও। ইতিমধ্যে কেদারনাথে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার কারণে কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ২০০ পুণ্যার্থী আটকে পড়ে রয়েছেন। তার মধ্যে বাঙালি ভক্তরাও থাকতে পারেন বলে অনুমান। ইতিমধ্যে কেদারনাথের মোট ১০০টি সড়কপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৃষ্টিতে। রাস্তাগুলিকে দ্রুত স্বাভাবিক করার কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।


Previous articleঅলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী স্বপ্নিলকে শুভেচ্ছা মোদি-মমতার
Next articleকোটি কোটি টাকা GST ফাঁকি! এবার কাঠগড়ায় ইনফোসিস