অভিষেকের দাবিই সঠিক, ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে কেন্দ্রের শূন্য বরাদ্দে সরব ডেরেক

ডেরেক লিখেছেন, "অবশেষে ! মোদী সরকার সংসদে স্বীকার করেছে বাংলার জন্য এমজিএনআরইজিএ তহবিলে বরাদ্দ শূন্য।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ভরাডুবি। আর তারপর বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা দেয়নি মোদি সরকার। একশো দিনের কাজ তার অন্যতম। বারবার এই অভিযোগ তুল সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার বাজেট বক্তৃতাতেও অর্থমন্ত্রীর কাছে এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য এবার সেই সত্যই প্রকাশ করল যেখানে বাংলার একশো দিনের কাজে শূন্য বরাদ্দের তথ্য স্পষ্ট। এবার সেই তথ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্র সরকারের গ্রামোন্নয়ন দফতরের একটি তথ্য তুলে ধরেন যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সব রাজ্যে একশো দিনের প্রকল্পে কত পরিবার কাজ পেয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট গড় বজায় রেখে কাজ পেয়েছেন বাংলার মানুষ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেটা ব্যাপক হারে কমে গিয়ে হাতে গোনা কয়েকটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেটা শূন্যতে এসে দাঁড়িয়েছে। এই প্রসঙ্গেই ডেরেক লিখেছেন, “অবশেষে ! মোদী সরকার সংসদে স্বীকার করেছে বাংলার জন্য এমজিএনআরইজিএ তহবিলে বরাদ্দ শূন্য। এব্যাপারে মোদী সরকারকে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় অবশেষে সেই কথা স্বীকার করে নিল মোদী সরকার।”

এর আগেও তৃণমূল সাংসদরা এই নিয়ে লিখিত প্রশ্ন তোলেন লোকসভায়। তার জবাবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাসওয়ান তথ্য দিয়ে স্বীকার করে নেন, একমাত্র বাংলাকে MGNREGS-এ কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি।

গত অর্থবর্ষে বাংলার বরাদ্দ টাকা আদায়ের জন্য বারবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়েছে তৃণমূল। তারপরেও শুধু একশো দিনের কাজ নয়, আরও বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ বন্ধ করে বা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর থেকেই তৃণমূল যে রাজ্যের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে তার প্রমাণ রাজ্যসভা থেকেও পাওয়া গেল। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে সাংসদ ডেরেকের করা প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের দেওয়া উত্তরকে হাতিয়ার করে লড়াইয়ের মাঠে নামবে তৃণমূল, সেটাও সাংসদের টুইটে স্পষ্ট।