তাজপুরে সমুদ্রপাড়ে বনদফতরের জায়গায় অবৈধভাবে দোকান-ঘর তৈরিতে বাধা দিয়ে কারামন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির (Akhil Giri) হুমকির মুখে পড়েন বনদফতরের আধিকারিক মনীষা সাউ (Manisha Sahu)। কুৎসিতভাষায় মহিলা সরকারি আধিকারিককে আক্রমণ করেন কারামন্ত্রী। ঘটনায় তীব্র ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অখিল গিরিকে (Akhil Giri) ফোন করে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। একই সঙ্গে ওই মহিলা রেঞ্জ অফিসারের কাছে অখিলকে নিঃশর্ত ক্ষমাও চাইতে বলা হয়েছে। যদিও শনিবারের ঘটার পরে, রবিবার, কারামন্ত্রী জানান, তিনি ভুল করেছেন। কিন্তু সেই মন্তব্যেও ঔদ্ধত্য ছিল। রেঞ্জারকেই কার্যত ঘটনার জন্য দায়ী করেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক। এর পরেই দলের তরফ থেকে তাঁর কাছে কঠোর নির্দেশ যায়।
রবিবার, ঘটনা নিয়ে দায় সারা প্রতিক্রিয়া দেন অখিল। বলেন, “আমি একটু রাগান্বিত হয়ে যে কথা বলে ফেলেছি, যে আচরণ করে ফেলেছি, সেটা ঠিক নয়। সেই কথাটা বলা অনুচিত। এক জন আধিকারিককে যে কথা বলেছি, সেটা নিশ্চিত ভাবে আমার বলা ঠিক হয়নি।” কিন্তু একইসঙ্গে ওই মহিলা আধিকারিকের উপর দোষ চাপান কারামন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই মহিলা পদাধিকারীর আচরণ খারাপ ছিল। তাঁর কথায়, “সে সময়ে যদি বিষয়টা আমি হাতে না নিতাম, তাহলে গ্রামে অন্য পরিস্থিতি তৈরি হত। একেবারে তিন চারশো লোক ঝাঁপিয়ে পড়ত।”
অখিলের এই আচরণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফোন যায় কারামন্ত্রী অখিল গিরির কাছে। দলের তরফে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অখিলকে ফোন করে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি ওই মহিলা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন।