ঘোলা জলে মাছ ধরছে সেনা! প্রতিবাদী পড়ুয়ারা চান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হোন ইউনুস

লাগাতার কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে কার্যত বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর দেশত্যাগের পর গতকাল, সোমবারই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিক সম্মেলনে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার ঘোষণা করেন। তবে এই সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। সেনার হাতেই রাশ থাকবে, নাকি দায়িত্বে অন্য কেউ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যে নামগুলি ভেসে আসছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে (Muhammad Younus)।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা পড়ুয়ারা জানিয়ে দেন, ঘোলা জলে কাউকে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ, সেনা-সমর্থিত বা রাষ্ট্রপতিশাসিত কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না। প্রস্তাবিত সরকার ছাড়া অন্য কোনও সরকারকে সমর্থন করা হবে না বলেও জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর শীর্ষ সারিতে থাকা ছাত্রনেতারা জানিয়ে দিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে তাঁরা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে (Muhammad Younus) চান।

বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মঙ্গলবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম একটি ভিডিও বার্তায় জানান, ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা গঠন করতে চাইছেন তাঁরা। নাহিদ আরও জানান যে, তাঁর ইউনুসের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ‘ছাত্রদের আহ্বানে এবং বাংলাদেশকে রক্ষায়’ দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নাহিদ।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাংবাদিক বৈঠকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটানো হল। কেবল ব্যক্তিকে সরালেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং যে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্য দিয়ে এ ধরনের ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়, সেই কাঠামোরও বিলোপ করে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমাদের করতে হবে।”

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেনা সমর্থিত সরকার চাইছে না আন্দোলনকারী ছাত্ররা, বড় সিদ্ধান্ত আজ