জেল ভেঙে বেরিয়েছে আল কায়দা জঙ্গিরা! বাংলাদেশ অনুপ্রবেশে কড়া বার্তা শাহের

সীমান্তে যে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশের আর্জি নিয়ে হাজির হচ্ছে, তাঁদের ভিড়ে মিশে ভারতে ঢুকে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা এই জঙ্গি নেতাদের

একদিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তাভাবনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। অন্যদিকে অনুপ্রবেশ নিয়ে কড়া বার্তা বিএসএফকে দিয়েছে মন্ত্রক। আর সেই বার্তায় উল্লেখ হয়েছে বাংলাদেশের জেল ভেঙে আসামীদের বেরিয়ে আসার তথ্য ও ভারতের জন্য বিপজ্জনক একাধিক জঙ্গিনেতার ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার বার্তা। এই দুই কারণকে সামনে রেখে কোনওভাবেই যাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ না হয় তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বিএসএফকে।

গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই ভারত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নেতাদের ভারতের জঙ্গি মডিউল ও স্লিপার সেলগুলিকে সক্রিয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে আইএসআই। সেই কাজে বাংলাদেশের জেলে বন্দি বেশ কিছু শীর্ষ জঙ্গিনেতা তাদের সাহায্য করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম নাম আল কায়দার আবু তালহা ও জেএমবি-র সোহেল মাফুজ। সেই সঙ্গে আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট, জামাত, আনসারের মতো দলের নেতারাও রয়েছে।

বাংলাদেশ সূত্রে খবর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, গাজিপুর থেকে ঢাকার কাশিমপুরের মতো একাধিক জেল ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে জঙ্গিরা। সংখ্যাটা প্রায় ১২০০। অনেকেই অনেক জেলে ফিরে গেলেও কুখ্যাত কিছু জঙ্গির ফিরে যাওয়ার কোনও খবর নেই। এরকম প্রায় ২৭ জঙ্গি নিয়ে খবর রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। তার মধ্যেই নাম রয়েছে এই তালহা ও মাফুজের। ভারতের আল কায়দার জঙ্গি মডিউল খোলার মূল কারিগর এই তালহা। অন্যদিকে খাগড়াগড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলে প্রশিক্ষণের মূল অভিযুক্ত মাফুজ। সেই সঙ্গে তালহার স্ত্রী ফারিয়া আফরিন বাংলা সহ প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে জেএমবি মহিলা ইউনিট চালু করে মজবুত করার কাজেই নেতৃত্বে ছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে, সীমান্তে যে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশের আর্জি নিয়ে হাজির হচ্ছে, তাঁদের ভিড়ে মিশে ভারতে ঢুকে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা এই জঙ্গি নেতাদের। সেই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যে সব এলাকা অনুপ্রবেশ প্রবণ, সেই সব এলাকায় বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সীমান্তের চেকপোস্ট, চৌকিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা। সীমান্তের গ্রামগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের অচেনা অনুপ্রবেশকারী দেখলেই বিএসএফকে সতর্ক করার বিষয়েও বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।

Previous articleউদ্ধারপর্ব শেষ, কান্না-হাহাকারের ওয়ানাড় থেকে সেনা বিদায় 
Next articleআর জি করের বাইরে ধুন্ধুমার, রাজনীতির ফায়দা তোলা রুখে দিল পুলিশের ব্যারিকেড