আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Medical College and Hospital Case Hearing) দায়ের হওয়া ৫টি জনস্বার্থ মামলার শুনানির ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুর একটার মধ্যে কলকাতা পুলিশের কাছে কেস ডায়েরি তলব করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (CJ of Calcutta High court)। কেন মৃতার পরিবারকে আত্মহত্যার তত্ত্ব জানানো হলো, এবং তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পর দেহ দেখতে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) পদত্যাগ পত্র এবং নতুন নিয়োগপত্রও জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনে কড়া অবস্থান কলকাতা হাইকোর্টের। আজ রাজ্যের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের মৃত মহিলা চিকিৎসকের বাবা। এদিন জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে যাওয়ার বার্তা দিল আদালত। বিকেল তিনটের মধ্যে তিনি ছুটির আবেদন না করলে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানালো আদালত। সন্দীপের বয়ান এখনও কেন রেকর্ড করা হয়নি তা নিয়ে কলকাতা পুলিশকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনকে অত্যন্ত মানবিকতার সঙ্গে দেখার কথাও আদালতের তরফে বলা হয়েছে। কর্মবিরতির জট কাটাতে সরকারের উচিত আন্দোলনরত ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসা।এতদিনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা হয়ে যাওয়া উচিত ছিল রাজ্যের, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। দুপুর ১টায় ফের শুনানি শুরু হবে।