আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ, আজ আরজি করের দায়িত্ব নিলেন নতুন অধ্যক্ষ

যত সময় যাচ্ছে ততই আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) অচলাবস্থা বাড়ছে। সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত হওয়া জেনারেল বডির মিটিংয়ে (GB meeting) ডাক্তারি পড়ুয়ারা আন্দোলনে অনড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশকে দেওয়া ডেডলাইনের পাল্টা ডেডলাইন দিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের কথায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। SIT- এর তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন আন্দোলনকারীরা। আজ মঙ্গলবার হাসপাতালে নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল (Suhrita Paul) দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সকালের সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান ডাক্তারি পড়ুয়ারা যে দাবি করছেন সেটির সঙ্গে তিনি সহমত পোষণ করেছেন এবং প্রকৃত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন। অন্যদিকে ন্যাশনাল মেডিক্যালে রাত জেগে পড়ুয়া চিকিৎসকদের পাহারা। সকালেও অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) অফিসঘরে ঢোকার রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভের প্রস্তুতি জুনিয়র ডাক্তারদের।

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে আজও প্রতিবাদে ‘সিজ ওয়ার্ক’ জুনিয়র ডাক্তারদের।রাতের GB মিটিং এর পর চিকিৎসকদের দাবি আগামী ১৪ অগস্টের মধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে কথা বলছেন তাঁরা। দাবি না মানা হলে এভাবেই কর্মগুলোতে চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারি আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের।

অন্যদিকে দ্রুত খুনের কিনারা করতে আজ ফের ৪ জুনিয়র ডাক্তারকে সকাল ১১ টায় লালবাজারে তলব করা হয়েছে। নির্যাতিতার সঙ্গে রাতে খাবার খাওয়ার পর ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত PGT-সহ ৭জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলেও ফের ডাক পড়েছে তাঁদের। চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান এবং হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকেও তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। নার্সিং স্টাফ, নিরাপত্তা কর্মী একাধিক গ্রুপ ডি স্টাফকেও আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর।