প্যারিস অলিম্পিকে দেশের পতাকাবাহক হতে পেরে গর্বিত মনু ভাকের

স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ভারতীয় হকি দলও ব্রোঞ্জ জিতেছে

প্যারিস অলিম্পিক্সে দুটি পদক জিতেছেন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে দেশের পতাকাবাহক হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই দায়িত্ব পান মনু ভাকের। তার সঙ্গে ছিলেন দুবার অলিম্পিক্স পদকজয়ী হকি খেলোয়াড় হিসাবে পিআর শ্রীজেশও ছিলেন। ‘প্যারেড অফ নেশনস’-এর ভারতের পতাকাবাহক হিসাবে তাই বেছে নেওয়া হয়েছিল এই দু’জনকেই।প্যারিসে দুটি ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস তৈরি করেছেন মনু। স্বাধীনতার পর এক অলিম্পিক্সে দুটি পদকজয়ী প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ তিনি। অন্যদিকে, ‘ওয়াল অফ ইন্ডিয়া’ নামে খ্যাত শ্রীজেশ ভারতীয় হকি টিমের গোলরক্ষক, দূর্গের শেষ প্রহরী। এবারেও ব্রোঞ্জ জিতেছেন। অলিম্পিক্স শেষে দেশে ফিরেছেন মনু। জানিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পতাকাবাহকের সম্মান পেয়ে রোমাঞ্চিত তিনি।
মনু বলেছেন, এমন অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই হয়। অলিম্পিক্সে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন মনু। তারপর ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড ইভেন্টে সর্বজোত সিংয়ের সঙ্গে ভারতকে এনে দিয়েছেন দ্বিতীয় ব্রোঞ্জ পদক। অল্পের জন্য ২৫ মিটার পিস্তলে পদক হাতছাড়া হয়েছে মনুর। নাহলে তৈরি হত এক অনন্য রেকর্ড।
স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ভারতীয় হকি দলও ব্রোঞ্জ জিতেছে। এর পিছনে শ্রীজেশের অবদান অনস্বীকার্য। একাধিক গোল বাঁচিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের শ্যুট আউটেও তার রক্ষণ মনে থাকবে ক্রীড়াপ্রেমীদের। মনু বলেছেন, আমরা সবাই পদক জেতার জন্যই পরিশ্রম করি। ভবিষ্যতে যদি একটা অলিম্পিক থেকে দুটির বেশি পদক জিতেতে পারি, তাহলে সেটা দুর্দান্ত হবে। ভবিষ্যতে আরও ভাল পারফর্ম করাই আমার লক্ষ্য। ভারতের পতাকাবাহক হতে পেরে গর্বিত মনু বলছেন,শ্রীজেশ ভাইয়ের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক। ছোট থেকে চিনি। সবার সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশেন। সাহায্য করেন। খুব বিনয়ীও।