আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College হামলার নেপথ্যে কারা? সমাজ মাধ্যম থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, রাজ্যজুড়ে প্রত্যেকের এই একটাই প্রশ্ন। স্বাধীনতার মধ্যরাতে আচমকাই একদল দুষ্কৃতী আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) ঢুকে তছনছ করে জরুরি বিভাগ। ভাঙ্গা হয়েছে চেয়ার টেবিল, পুলিশ ব্যারিকেড। বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশ এবং কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের। রাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর কলকাতা পুলিশের তরফে চিহ্নিত করা হয়েছে দুষ্কৃতীদের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। কলকাতা পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে হামলাকারীদের ছবি দিতে চিহ্নিত করে লেখা হয়েছে, ‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’ পুলিশের এই পোস্ট নিজের পেজে শেয়ার করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের সুস্থতা কামনা করার পাশাপাশি এই ঘটনার পিছনে যারা রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোয় ক্ষুব্ধ কমিশনার গোটা বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। দুষ্কৃতী হামলায় অন্তত ১৫ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। হাসপাতালের এমারজেন্সির টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ, CCU, ওষুধের স্টোররুম ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেখা যায়, শুধু ভাঙচুর নয় অগ্নিসংযোগের চেষ্টাও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আরজি করের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মধ্যরাতে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ, নামানো হয় র্যাফ। হামলাকারীদের একাংশকে তাড়া করে এলাকাছাড়া করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। আহত পুলিশ কর্মীদের চিকিৎসা চলছে।
