এক দশক পার করে ১১ বছরে পা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। ইউনেস্কোতে সেরার শিরোপা পেয়ে সেই কন্যাশ্রী আজ বিশ্বজয়ী। বুধবার সকালেই রাজ্যের মেয়েদের রক্ষার জন্য তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কন্যাশ্রীর মতো মেয়েদের স্বনির্ভর করার প্রকল্প শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে বার্তা দিল ইউনিসেফ।

বুধবার রাজ্যের কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরিয়ান দে ওয়াগত। তিনিই কন্যাশ্রী প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘‘কন্যাশ্রী প্রকল্প নারীদের সশক্তিকরণে বড় ভূমিকা নিচ্ছে। শিশুদের পুষ্টি, বৃদ্ধি নিয়ে ইউনিসেফ যে সব কাজ করছে সেগুলি কন্যাশ্রীর কারণে আগের থেকে বেশি সফল হচ্ছে। এই প্রকল্প কিশোরীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করছে। বাল্য বিবাহ রোধে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।’’

২০১৩ সালের ১৪ অগাস্ট প্রথমবার রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। তারপর প্রতি বছর এই দিনে বাংলায় কন্যাশ্রী দিবস পালন করে থাকে সরকার। কন্যাশ্রী দিবসের উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ট্যুইট করে লেখেন, আমার সরস্বতী কন্যাশ্রী ভবিষ্যতের ভাগ্যশ্রী, আমার সরস্বতী আঁধারেও আলো, সারা বিশ্বে বিশ্বশ্রী। আজ কন্যাশ্রী দিবস। আমার প্রত্যেক কন্যাশ্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে রাজ্যের সব মেয়ে এখন কন্যাশ্রী! তোমরা এগিয়ে যাও। নিজের নিজের স্বপ্ন পূরণ করো। তোমাদের যে কোনও দরকারে আমি তোমাদের পাশে আছি।

ইউনেস্কোতে সেরার শিরোপা পেয়ে সেই কন্যাশ্রী আজ বিশ্বজয়ী। অর্থনৈতিকভাবে পিছয়ে পড়া মেয়েদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত গ্রামে-গঞ্জে বা প্রত্যন্ত এলাকায় ১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা ছিল। সেক্ষেত্রে মেয়েদের লেখাপড়া তো দূর-অস্ত্ স্বাস্থ্যেরও খুব ক্ষতি হত। মেয়েদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা রাজ্যে এখন ৮৭ লক্ষেরও বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রীর আওতায় রয়েছেন। বেস্ট পারফর্মিং জেলা হিসেবে আজ পুরস্কার পাবে উত্তর দিনাজপুর। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের আওতাধীন কন্যারা বছরে ৫০০ টাকা এবং ১৮ বছর হয়ে গেলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে পায়।

আরও পড়ুন- We want justice: কলকাতা শহর বাংলাজুড়ে ‘রাত দখল’ মহিলাদের
