গণধর্ষণের তিন দশক পর শাস্তি! আজমীর-কাণ্ডের ৬ দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বাংলা তথা দেশ যখন আর জি কর কাণ্ডের নেপথ্যে থাকা দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সোচ্চার, তখনই আজমীরে (Ajmer, Rajasthan)১০০ জন স্কুল কলেজ পড়ুয়াকে গণধর্ষণ (Gang Rape) এবং ব্ল্যাকমেইল করা ৬ দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। ঘটনার প্রায় ৩২ বছর পর মিলল বিচার!

১৯৯২ সালে রাজস্থানের আজমীরে ১০০ জনেরও বেশি স্কুল ও কলেজের মেয়েকে গণধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইল করার একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্কুল- কলেজগামী মেয়েদের প্রলুব্ধ করে প্রত্যন্ত স্থানে নিয়ে গিয়ে এক বা একাধিক লোক তাঁদের উপর যৌন অত্যাচার (Sexual torture) করত বলে জানা যায়। ধর্ষণের ছবি দেখিয়ে ছাত্রীদের মুখ বন্ধ করার পাশাপাশি ব্ল্যাকমেইল করা হতো বলে অভিযোগ। এক সাংবাদিক গোটা বিষয়টি সকলের নজরে আনলে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ১৮ জনকে আসামী সাব্যস্ত করা হয়। করা হয়। মামলা চলাকালীন একজন অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছিলেন। আট অভিযুক্তকে দোষী ঘোষণার পর ১৯৯৮ সালে, আজমীরের একটি দায়রা আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ২০০১ সালে আবার রাজস্থান হাইকোর্ট (Rajasthan High Court) এই ৮ জনের মধ্যে ৪ জনকে মুক্তি দেয়। বাইশ বছর পর ২০২৩ সালে, সুপ্রিম কোর্ট বাকি চার আসামি, মইজুল্লাহ ওরফে পুত্তন, ইশরাত আলী, আনোয়ার চিশতী এবং শামসুদ্দিনের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে। এই মামলায় আরও ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিচার চলছিল। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট, ২০২৪) আজমীর আদালত এদের দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আলমাস এখনও পলাতক। সিবিআই তার সন্ধানে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছে।