Wednesday, November 12, 2025

বিজেপির বিধায়ক সাংসদদের বিরুদ্ধে মহিলা নির্যাতনের সর্বোচ্চ অভিযোগ

Date:

দেশের ৭৫৫ জন বর্তমান সাংসদ এবং ৩,৯৩৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১৫১ জন সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধেই নারীনির্যাতনের অপরাধ-সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। এই ১৫১ জন বর্তমান সাংসদ-বিধায়কের মধ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ-সংক্রান্ত মামলা রয়েছে ১৬ জন সাংসদ এবং ১৩৫ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের রিপোর্টে এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কদের ৪৮০৯টি নির্বাচনী হলফনামার মধ্যে ৪৬৯৩টি বিশ্লেষণ করে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আর সেই সূত্রেই দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দলের নিরিখে অভিযুক্তদের তালিকায় ভারতীয় জনতা পার্টিরই সর্বাধিক সংখ্যক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। নারীনিগ্রহে অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ-বিধায়কের সংখ্যা ৫৪। তারপর কংগ্রেসের ২৩ এবং তেলেগু দেশম পার্টির ১৭ জন সাংসদ-বিধায়ক রয়েছেন যাঁদের বিরুদ্ধে নারীনির্যাতন সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। ১৫১ জন সাংসদ-বিধায়কের মধ্যে ১৬ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলা (আইপিসি ধারা-৩৭৬) রয়েছে এবং এদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে একই মহিলাকে বারবার ধর্ষণ করার অভিযোগ আছে।

সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে মহিলাদের নির্যাতনের মামলাগুলি যে যে ধারায় দায়ের করা হয়েছে সেগুলি হল মহিলার উপর হামলা বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগের অভিযোগ তার শালীনতাকে ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে (আইপিসি ধারা-৩৫৪), অপহরণ, নারীকে জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়েতে বাধ্য করা (আইপিসি ধারা-৩৬৬), ধর্ষণ (আইপিসি ধারা-৩৭৬)। উল্লেখ্য, কোনও ব্যক্তি যদি একই মহিলাকে বারবার ধর্ষণ করে তাহলে তাকে একটি মেয়াদের জন্য কঠোর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে যা দশ বছরের কম হবে না, তবে কারাদণ্ড আরও প্রসারিত হতে পারে (আইপিসি ধারা-৩৭৬(২)(এন))। এই জাতীয় অপরাধের পাশাপাশি রয়েছে এমন নির্যাতন যেখানে একজন মহিলা স্বামী বা আত্মীয়ের দ্বারা নিষ্ঠুরতার শিকার (আইপিসি ধারা-৪৯৮এ), পতিতাবৃত্তি-সহ খারাপ উদ্দেশ্যে নাবালক ক্রয় করা (আইপিসি ধারা-৩৭৩) এবং একজন মহিলার শালীনতা অবমাননার উদ্দেশ্যে কুকথা, অঙ্গভঙ্গি বা কাজ (আইপিসি ধারা-৫০৯)। এই যেখানে বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের ট্র্যাক-রেকর্ড, সেখানে বাংলায় আরজি কর-কাণ্ডের মতো একটি বিচ্ছিন্ন খারাপ ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে বিজেপি আসলে বাংলার বদনাম করছে। আর এ-ধরনের কাজ করা হচ্ছে এ-রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনে হারার শোক ভুলতে ও বাংলার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার লক্ষ্যেই।


Related articles

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...

মৃত ভোটারের নামে ফর্ম জমা পড়লে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের

মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়লে এবার সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,...

আর্থিক দুনীতির গুরুতর অভিযোগ, রাজ্য ভলিবল সচিবের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিদ্রোহ

নজিরবিহীন কাণ্ড রাজ্য ভলিবলে(Volleyall)। সচিব পল্টু রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কর্তাদের একাংশ। অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার পল্টুর অনুগামীরা...
Exit mobile version