Tuesday, May 6, 2025

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Medical College & Hospital)তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার নৃশংস ধর্ষণ-খুন। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে নিয়ে ন্যক্কারজনক রাজনীতি চলছে। প্রতিবাদের নামে একের পর এক ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। স্যোশাল মিডিয়ার তত্ত্ব আদালতে দিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে সিবিআই (CBI)।

একনজরে দেখা নেওয়া যাক, কোনটা গুজব, কোনটা বাস্তব।

  • ভুল তথ্য – নির্যাতিতার পেলভিক হাড়, গলার হাড়-ভাঙা-সহ বিভিন্ন বহু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন
  • বাস্তব – ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এরকম কোনও তথ্য মেলেনি
  • ভুল তথ্য – কলকাতা পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক মৃতার বাবা-মাকে ফোন জানান তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
  • বাস্তব – মৃতার বাবা-মায়ের বয়ানে স্পষ্ট, আর জি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পরিচয়ে দিয়ে একজন তাঁদের ফোনে জানান, খুব সম্ভবত আপনাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
  • ভুল তথ্য – বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম পর্যন্ত প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন, মৃতার বাবা-মায়ের হাতে দেহ না দিয়ে কলকাতা পুলিশ না কি নিজেরা শ্মশানে গিয়ে শবদাহ করেছেন।
  • বাস্তব – হাইকোর্টে দায়ের হওয়া নথিতে উল্লেখ, পুলিশের পক্ষ থেকে পোস্টমর্টেমের পরে দেহ মৃতার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবারই শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দেহ দাহ করে।
  • ভুল তথ্য – ধর্ষণ-হত্যার পরে গুজব ছড়ায় গণধর্ষণের।
  • বাস্তব – সিবিআই-এর প্রাথমিক তদন্তে এটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সামনে এক আইনজীবী এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন আমার সামনে পোস্টমর্টেম এবং অটোপসি রিপোর্ট রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া দেখে ভুলভাল গুজব ছড়াবেন না।
  • ভুল তথ্য – বিভিন্ন জায়গায় খবর ভাইরাল হয়, অভিযোগ করা হয়েছিল আর জি করের ঘটনায় সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হলেও নাকি মূল ধর্ষক তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রের ছেলে। তিনি ঘটনার পর থেকে নাকি পলাতক।
  • বাস্তব – সৌমেন মহাপাত্র তার ছেলেকে প্রকাশ্যে এনে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়ে দেন তার ছেলে আর জি করের ছাত্র নন এবং তিনি অন্যত্র সরকারি চাকরিতে কর্মরত।
  • ভুল তথ্য – আর জি করের চিকিৎসক পড়ুয়া নাকি মারা যাওয়ার আগে মাকে ভিডিও কল করেছিলেন, কীভাবে মারাত্মক আহত করে গলা কেটে দেওয়া হয়েছে।
  • বাস্তব – পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে কলকাতার এক মেকআপ আর্টিস্ট মহিলা নিজের মেকআপের কারিগরি দেখানোর জন্য এমন ভিডিও বানিয়েছেন রক্তাক্ত সেজে
  • ভুল তথ্য – ধৃত সঞ্জয় রায় বিহারের বাসিন্দা। রায়কে রাজ্য সরকার সিভিক ভলেন্টিয়ার এর চাকরি দিয়েছে এবং সে ধর্ষণ করেছে।
  • বাস্তব – আর জি করের ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধৃত সঞ্জয় রায় আজন্ম কলকাতার বাসিন্দা

 


Related articles

প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে মেট গালার মঞ্চে শাহরুখ, মন জিতলেন অনুরাগীদের 

তিনি বলিউডের বাদশা, যেখানেই যান সেখানেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। এবার বিশ্বমানের ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালা ২০২৫- এও...

NRI কোটায় মেডিক্যালে ভর্তির তদন্তে সাতসকালে শহর জুড়ে ইডি হানা

মেডিক্যালে ভর্তির দুর্নীতি (Medical scam) নিয়ে তদন্তে মঙ্গলের সকালে কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটের (ED )আধিকারিকরা।...

টানা ১২ দিন ধরে সীমান্তে গোলাবর্ষণ পাকিস্তানের, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার বাড়ছে উত্তেজনা

সীমান্ত সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে একটানা ১২ দিন ধরে ভারতীয় সেনা (Indian Army Camp) ছাউনিকে টার্গেট করে...

দিঘায় ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখা সরানোর অভিযোগ মিথ্যে, গুজবের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের

পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় 'জগন্নাথ ধাম' (Jagannath Dham) লেখা সরানো নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটালো জেলা পুলিশ। ছবিসহ সোশ্যাল মিডিয়ায়...
Exit mobile version