“১১ বছরে প্রথম রাজনৈতিক বক্তব্য দিলাম”, কেন এমন কথা বললেন দেব!

আর জি কর (RG Kar Medical College and Hospital) নিয়ে যখন উত্তাল গোটা দেশ তখন কেন প্রধানমন্ত্রী ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির বিল এনে ভারতবর্ষের আইনে বদল আনছেন না? আর্টিস্ট ফোরামের (Artist Forum) গণ অবস্থান মঞ্চ থেকে ঠিক এই প্রশ্নই তুললেন সাংসদ অভিনেতা দেব (Dev)। কলকাতার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুতে গর্জে উঠেছে মানুষ। দিকে দিকে বাড়ছে প্রতিবাদ আর দোষীর শাস্তির দাবি। বঙ্গবাসীর স্লোগানে শুধুই ‘বিচার চাই’ ধ্বনিত হচ্ছে। কিন্তু সবাই যখন সোচ্চার, তখন কেন নীরব অভিনেতা দেব (Dev), সমাজমাধ্যমে ধেয়ে এসেছিল কটাক্ষ। সদ্য বিদেশ থেকে ফিরেই ফোরামের প্রতিবাদী মঞ্চে উপস্থিত হয়ে টলিউডের ‘প্রধান’ জানিয়ে দেন, স্যোশাল মিডিয়া কী বলল তার উত্তর দিতে তিনি প্রতিবাদ করছেন না। দেবের (Dev) কথায়, “শুধু কি আরজি কর? গত ১৪ দিনে সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ ঘটে গিয়েছে। দেশ জুড়ে এত প্রতিবাদ চলছে তবু কারও মনে কোনও ভয় নেই! কিছুই করতে পারছি না আমরা? এই সময় আমাদের সকলকে একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।আমরা চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। শুধু তাই নয় যারা দোষীদের আড়াল করবার চেষ্টা করছে তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”

শনিবারের বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় দেবের (Dev) মুখে আইন বদলের দাবি। তিনি বলেন, যে প্রধানমন্ত্রী রাতারাতি নোটবন্দি করতে পারেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ করেন, নিজেদের স্বার্থে ইডির নিয়ম বদলাতে পারেন, সেই প্রধানমন্ত্রীই কেন ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন আনছেন না। এই প্রসঙ্গেই সাংসদ অভিনেতা বলেন, ” কেউ যদি বলে আমি এই কথা বলে রাজনীতি করছি, তাহলে এগারো বছরে প্রথমবার রাজনৈতিক মন্তব্য করলাম। ” দেবের কথায় উঠে আসে হাথরাস, আশারাম বাপু, রামরহিমের কথা। উঠে আসে বিলকিস বানুর ধর্ষণ প্রসঙ্গ। তিনি প্রশ্ন করেন, “কী করে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও সংশোধনাগারের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা? কেন ছাড় দেওয়া হচ্ছে শাস্তির ক্ষেত্রে?” নবান্ন অভিযানের প্রশ্ন উঠতেই উষ্মা প্রকাশ করে ঘাটালের তারকা সাংসদ বলেন, ‘একটা অরাজনৈতিক আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ মানুষ এক হতে চাইলেও পলিটিশিয়ানরা এক হতে দেবেন না। বাঙালি একাই একশো হলেও, একশো বাঙালি কি এক হতে পেরেছেন?’ প্রশ্ন টালিগঞ্জের খোকাবাবুর।


Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম 
Next articleগ্যালিফ স্ট্রিট পোষ্যের হাটের ওয়েবসাইট চালু, রক্তদান শিবিরে উপচে পড়া ভিড়