ডাক্তারদের কর্মবিরতি: হল না ডায়ালিসিস, মুমুর্ষ রোগী ফেরালো হাসপাতাল

সুপ্রিম কোর্ট বলার পরেও হেলদোল নেই। চিকিৎসা পরিষেবা ডকে তুলে লাগাতার কর্মবিরতির পক্ষে নিজেদের অবস্থানে অনড় সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশ। আট থেকে আশি, মুমূর্ষ রোগী পাচ্ছে না চিকিৎসা পরিষেবা। ধর্ষক-খুনির সাজা ভুগতে হচ্ছে নিরপরাধ রোগী ও তাঁদের অসহায় পরিবারের লোকেদের। এই যেমন কিডনির সমস্যা নিয়ে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) এসেছিলেন বাগুইআটির এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা।

জল জমেছে পেটে। ফুলছে পা দুটোও। আন্দোলন, প্রতিবাদের সমর্থক তিনিও। দোষীদের ফাঁসি হোক সেটাও চান, কিন্তু এভাবে চিকিৎসা বন্ধ করে! গরিব মানুষ যাবে কোথায়? ছেলের কাঁধে ভর দিয়ে মহিলা পৌঁছেছিলেন আর জি করে। কিন্তু ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, ডায়ালিসিসের চ্যানেল এখানে হবে না। লোক নেই। মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছিল মজিলার।

আর জি করের (RG Kar Hospital) আউটডোরের সামনে চেয়ারে বসেছিলেন। হাতে গুচ্ছ প্রেসক্রিপশন। চোখে-মুখে হতাশা। কথায় কথায় বললেন, “২২ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। চারবার ডায়ালিসিস হয়েছে। ১ আগস্ট ছুটি দিয়ে ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, আটদিন পর আবার আসতে হবে। অবস্থা বুঝে আবার ডায়ালিসিস হবে। হাসপাতালে ঝামেলা শুরু হওয়ায় ভয়ে এদিকপানে আসিনি। নার্সিংহোম যাওয়ার টাকাও নেই। আর না পেরে আজ এসেছিলাম। কিন্তু ডায়ালিসিসের চ্যানেল করারই লোক নেই! এত বড় হাসপাতালে! তাহলে কেমন পরিষেবা শুরু হয়েছে?”

মহিলার ছেলের কথায়, ”মায়ের পেট, হাত-পা ফুলে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের যন্ত্রণায় কার কী আসে যায় বলুন!”

আরও পড়ুন: “নিখোঁজ” নয়, ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের জন্য ৪ ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার! জানিয়ে দিল পুলিশ

 

Previous articleমাত্র ২৬% ধর্ষক শাস্তি পায়! কোলাজ পোস্ট করে ফের দ্রুত শাস্তির দাবিতে সরব অভিষেক
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম