কর্মসংস্কৃতির বাংলায় কোনও বনধ নয়, সকাল থেকে সজাগ প্রশাসন 

পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন (Nabanna) অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার মঙ্গলবারের পর বুধে কর্মনাশা বনধ ডেকেছে বিজেপি (BJP)। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে তৎপর নবান্ন। একদিনের রাজ্য অচল করে দেওয়ার অর্থ বাংলার কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানে আঘাত করা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই জানিয়েছেন এই বাংলায় কোনও বনধ হয় না। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee) সকলকে স্বাভাবিক পরিষেবা বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন। আজ সকাল থেকেও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যাপ্ত সরকারি বাস রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতোই কাজে বেরিয়েছেন সাধারণ মানুষ। মহানগরীতে বাজারহাট, দোকানপাট সবই খোলা রয়েছে। আজ তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠান। বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই TMCP কর্মী, সদস্য ও সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। জায়গায় জায়গায় বাস ট্রেন আটকে বিক্ষিপ্ত অশান্তি তৈরির চেষ্টা বিজেপির।

নবান্ন অভিযানের নামে গুন্ডামি করার পর এবার ছাত্র সমাজের উপর আক্রমণের মিথ্যা অভিযোগে আজ সকাল ছটা থেকে বনধের ডাক দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা সামগ্রিকভাবে রেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে বলে খবর।কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনে অবরোধ। ট্রেনের সামনে বিজেপির পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বন্‌ধ সমর্থকেরা। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নেতৃত্বে একাধিক রেল স্টেশনে অবরোধ করা হয়।দিনের প্রথম মেট্রো আটকে দিতে সকাল সওয়া ছ’টায় নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন পথে নেমে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা মিছিল করবেন বলে জানা যাচ্ছে। শ্যামবাজার, গড়িয়াহাট, ডানলপের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পথ অবরোধের পরিকল্পনাও রয়েছে বিজেপির।


Previous articleরাত পোহালেই ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস! থাকবেন মমতা-অভিষেক, এবার বক্তা ছাত্রীরাও
Next articleঅপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র, গ্রেফতার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া সায়ন লাহিড়ি