বিজেপির কর্মনাশা বনধ বিরোধিতায় রাজ্যজুড়ে পথে নামল তৃণমূল

আর জি কর ইস্যুতে কেন্দ্র করে আজ, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ (Bangla Bandh) ডেকেছে বিজেপি। এই বনধকে সফল করতে রাজ্যজুড়ে সকাল থেকেই পথে নেমেছে শাসক দল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে বনধ নিয়ে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জোর করে বনধ করতে গেলে প্রতিরোধ হবে, বিজেপিকে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মাল। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে বনধের বিরুদ্ধে মিছিল করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মিছিল শেষে বিধায়ক বলেন, “অফিস, স্কুল কলেজ সব খোলা থাকবে। সব জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীরা থাকবে। বিজেপির কেউ বনধের সমর্থনে এলে আমরা বাধা দেব’।

বনধের (Bangla Bandh) বিরোধিতায় সিঙ্গুরে তৃণমূলের মিছিলে নেতৃত্বে দিয়েছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। মিছিল থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকান খোলা রাখার আহ্বান জানানো হয়। হাওড়া উলুবেড়িয়া সাধারণ মানুষকে জনজীবন সচল রাখার বার্তা দিচ্ছে স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা। মিছিল হয়েছে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা এলাকায়। নদিয়ার চাকদহে তারা সিংহের বাগান থেকে থেকে স্টেশন পর্যন্ত মিছিল তৃণমূলের।

পূর্ব বর্ধমানের কালনাতেও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে মিছিল করেন বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। মিছিল হয় বীরভূমের সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর-সহ একাধিক জায়গায়। বার্তা একটাই, ‘শান্তির বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। যেকোনো প্রকারে তাদের এই চক্রান্ত আমরা রুখে দেব। কোন ধর্মঘট হতে দেব না’। সিউড়িতে ধর্মঘট বিরোধী এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়, আর রামপুরহাটে বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও পুরুলিয়াতেও।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে এ রাজ্যে বনধ পলিটিক্স কার্যত উঠে গিয়েছে। কোনও বিরোধী দলই বনধ করে সাফল্য পায়নি। এবারও বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থতার দিকেই এগোচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের।

আরও পড়ুন: আর জি করের নির্যাতিতাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উৎসর্গ করলেন মমতা

 

 

 

Previous articleআর জি করের নির্যাতিতাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উৎসর্গ করলেন মমতা
Next articleটিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে জাতীয়তাবাদী অভিনন্দন মমতা- অভিষেকের, সমাবেশ মঞ্চে বিশেষ চমক