বারবার ভিডিও দেখিয়ে মিথ্যা দাবি! ছবি প্রকাশ করে সত্যি প্রমাণ কলকাতা পুলিশের

টালা থানার মহিলা আধিকারিক থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার নিজে সেখানে কর্ডনের ভিতরে উপস্থিত। দেখা গিয়েছে ফরেনসিক বিভাগের চিত্রগ্রাহকদের

একের পর এক মিথ্যা ভিডিও, অডিও-তে আর জি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ-খুনের তদন্তের নজর অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও অবাধে সেই সব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। তার থেকেও মারাত্মক সেই সব ভাইরাল ভিডিও (ভিডিও-র সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যাও দিয়ে চলেছে চালু মিডিয়াগুলি। আর প্রতিবারই সেই ভিডিও-র পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া সব ব্যাখ্যা কতটা ভ্রান্ত তা প্রমাণ সহ তুলে ধরছে কলকাতা পুলিশ। হাসপাতালের সেমিনার রুমের ভিডিও দেখিয়ে যে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ ওঠে, তা শুক্রবার ছবি প্রকাশ করে, উপস্থিত ব্যক্তিদের নাম ধরে ধরে মিথ্যা প্রমাণ করে দেন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় (Indira Mukherjee, DC, Central)।

সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যেখানে ঘটনার পরের সকালে আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে (seminar room) উপস্থিত অনেক মানুষ। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ এনে দাবি করা হয় সেই সময় ঘরে বহিরাগতরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি সেন্ট্রাল দাবি করেন, “কর্ডনের ভিতরে তদন্তের সঙ্গে জড়িত নন এমন কেউ ছিলেন না। সকাল ১০.১০ নাগাদ খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সাড়ে ১০টা নাগাদ কর্ডন করা হয়। নজরদারি এড়িয়ে ঘেরাটোপে কেউ ঢুকতে পারেনি। এবং এই সমস্ত তথ্য সিবিআইকে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

বক্তব্যের প্রমাণ হিসাবে ভিডিও থেকে স্টিল নিয়ে ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় পরিচয় করিয়ে দেন ছবিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের সঙ্গে। যেখানে তিনি দেখান, টালা থানার মহিলা আধিকারিক থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার (CP) নিজে সেখানে কর্ডনের ভিতরে উপস্থিত। দেখা গিয়েছে ফরেনসিক বিভাগের চিত্রগ্রাহকদের, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (১) সহ হোমিসাইড শাখার (Homecide department) ওসিকেও কর্ডনের বাইরে দেখা যায় বলেই প্রমাণ তুলে ধরেন ডিসি সেন্ট্রাল। এমনকি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ (fingerprint expert) থেকে হাসপাতালের ডাক্তারদের উপস্থিতিও ছবির মধ্যে তুলে ধরেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিক। পুলিশ আধিকারিক সহ চিত্রগ্রাহক থেকে হাসপাতালের ডাক্তাররা ওই তদন্তের কাজেই যুক্ত ছিলেন তা ভিডিও থেকে নেওয়া ছবিতেই রয়েছে। কাজেই বহিরাগত উপস্থিতিতে প্রমাণ নষ্টের দাবি যে আদৌ ধোপে টেকে না, তাও প্রমাণ করে দেয় কলকাতা পুলিশ।

Previous articleধর্ষণ-খুনে শাস্তির দাবিতে কলেজে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ কর্মসূচি
Next articleপ্যারিস প্যারালিম্পিক্সে নজির ভারতের , ট্র্যাক ও ফিল্ড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জয় প্রীতির