সকালে ঘরের দরজা খুলেই দেখলেন মস্ত এক কুমির! আঁৎকে উঠবেন, না প্রাণ নিয়ে পালাবেন এখন তাই ভেবেই কাটাতে হচ্ছে গুজরাটের (Gujarat) ভদোদরার (Vadodara) বাসিন্দাদের। কলেজ ক্যাম্পাসে হাঁটাচলার জন্য বেরিয়ে হঠাৎ করেই পড়তে পারেন কুমিরের মুখে। সৌজন্যে মোদিরাজ্যের সুশাসন। একে বন্যায় রক্ষা নেই, দোসর কুমির। পূর্ব গুজরাটের বিশ্বামিত্রি (Vishwamitri river) নদীর তীরের প্রাচীন শহরে এখন এভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ১০টা পেল্লায় আকারের কুমির।

টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি গুজরাটে। ঘরছাড়া হয়েছেন ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪টি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ভাদোদরা সহ একাধিক শহরে ১০-১২ ফুট জল জমে রয়েছে। বিশ্বামিত্রি নদীর তীরে ভদোদরা শহরে নদীর জলেই প্লাবন এসেছে। টানা প্রায় চারদিন জলমগ্ন এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার বর্ষা কমতে শুরু হয়েছে জল নামা। তার পরেও জল রয়েছে বিপদসীমার উপরে, ২৪ ফুট পর্যন্ত। কিন্তু তাতে আবার দেখা গিয়েছে নতুন বিপদ।

এমনকিতে ভদোদরা তীরবর্তী বিশ্বামিত্রি নদী কুমিরের নদী হিসাবে পরিচিত। যেখানে অন্তত ৩০০ কুমির (crocodile) আছে বলেই দাবি বন দফতরের। বন্যার জল বাড়ায় অন্তত ১০টি কুমির ভেসে চলে আসে শহরের ভিতরে। কামনাথ নগরে বস্তি এলাকায় সাধারণ মানুষের দরজার বাইরে দেখা যায় প্রায় ১৫ ফুটের একটি কুমির। একটি কলেজের ছাদের উপরে উঠে যায় একটি কুমির। বন দফতরের দাবি, প্রায় ১০টি কুমির ঢুকে পড়ে শহরে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মাত্র ২টি কুমিরকে বিশ্বামিত্রি নদীতে ফেরৎ পাঠাতে সক্ষম হন তাঁরা, এতটাই বিরাট আকারের ছিল এই কুমিরগুলি।
