সিবিআই তদন্তের পরেও রায়দান হয়নি প্রায় সাত হাজার মামলার: রিপোর্ট ভিজিলেন্স কমিশনের

নিয়োগ মামলা থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের পক্ষে বরাবর সওয়াল করেছে গেরুয়া শিবির। একাধিক মামলাও গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। পাশাপাশি আর কি কর কাণ্ডের তদন্তের ভারও নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু সিবিআই তদন্তে আদৌ কতটা সন্তোষজনক?

কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের রিপোর্ট কিন্তু হতাশাজনক।আদালতের নির্দেশে বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দুর্নীতির মামলাও। বেশ কিছু মামলার সফল সমাধান হলেও বহু মামলা এখনও রায়দানের অপেক্ষায় বিভিন্ন এজলাসে বন্দি। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিবিআই তদন্তের পরেও বাকি আছে ৬৯০০ মামলার রায়দান! এই সবই দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। কমিশনের বিস্তারিত রিপোর্ট বলছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলছে প্রায় ৩৬১টি মামলার। পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো ১৩ হাজার মামলাও ২০ বছর ধরে ফাইলবন্দি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আদালতেই।

কেন এই শোচনীয় অবস্থা? ভিজিল্যান্স কমিশনের মতে হাজার হাজার শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়ার কারণেই এই করুণ ছবি। ফলে বিভিন্নক্ষেত্রে একাধিকজনের কাজ সামলাতে হচ্ছে একজনকে। স্বাভাবিক ভাবেই এক একটি মামলা চলছে বছরের পর বছর ধরে। সময় লাগছে ৫, ১০, ১৫ এমনকি ২০ বছরও! যা শুনে চোখ কপালে উঠেছে অনেকের। ফলে, দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই চূড়ান্ত চার্জশিট দিলেও আদালতেই আটকে থাকছে বহু মামলা।

তবে সিবিআই নিজেও যে বিরাট সফল নয়, তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে কমিশনের রিপোর্টেই। এখনও ৫৬৮টি মামলার তদন্ত শেষ করতেই পারেনি এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে আবার ৫ বছর ধরে তদন্ত চলছে ৪৮টি মামলার। কারণ? সেই লোকবলের অভাব। এখনও ফাঁকা প্রায় ১৬০০ পদ।

আরও পড়ুন- চিকিৎসক-নাগরিক সমাজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য নয়: দলীয় নেতাকর্মীদের নম্র হওয়ার বার্তা অভিষেকের

 

Previous articleচিকিৎসক-নাগরিক সমাজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য নয়: দলীয় নেতাকর্মীদের নম্র হওয়ার বার্তা অভিষেকের
Next articleনবাবের শহরে ডার্বি জয় মোহনবাগানের, টাইব্রেকারের হারাল ইস্টবেঙ্গলকে