Friday, December 19, 2025

চাপ বাড়াতে ‘অপরাজিতা’ বিলের প্রতিলিপি মোদি-শাহের কাছেও পাঠাচ্ছে রাজ্য   

Date:

Share post:

আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য।একাধিকবার পথে নেমে ন্যায়বিচার চাইছেন আমজনতা।রাজ্য ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন।ইতিমধ্যেই বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পাশ করিয়েছে রাজ্য সরকার। যার নাম ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’। ধর্ষকের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির কথা বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে এই বিলে।বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয় বিলটি। রাজ্যের আনা বিলটিতে সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিও। রীতি অনুযায়ী এই বিলটি আইনে পরিণত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে।তারপর সেই বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য যাবে।

জানা গিয়েছে, সেই বিলটি রাজভবনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও পাঠাবেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।সাংবিধানিক রীতি না হলেও জরুরি পরিস্থিতিতে গুরুত্ব বোঝাতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।এই বিল দ্রুত কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে চিঠিও দিয়েছেন।

পরিষদীয় রীতি অনুযায়ী বিধানসভায় যে কোনও বিল পাশ হলেই তা সরাসরি পাঠানো হয় রাজভবনে রাজ্যপালের স্বাক্ষরের জন্য। রাজ্যপাল চাইলে ওই বিল স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার জন্য স্বীকৃতি দিতে পারেন৷ অথবা তিনি চাইলে বিল সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনও ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ চাইতেই পারেন। প্রয়োজনে সেটা রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন।একইভাবে রাজ্যপাল যদি মনে করেন এই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে রাষ্ট্রপতি ভবনেও তা পাঠাতে পারেন। এমনটাই সাংবিধানিক পদ্ধতি ৷

কী আছে সেই বিলে?সেখানে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে যদি একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকে, এমনকী অত্যাচারের ভয়াবহতায় নির্যাতিতা যদি কোমায় চলে যান বা অচৈতন্য হয়ে পড়েন,সেক্ষেত্রে দোষ প্রামাণিত হলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হবে।ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তির কথাও বলা আছে ওই বিলে।

ওয়াকিবহালমহলের মতে, রাজনৈতিকভাবে এটা চাপ বাড়ানোর কৌশল রাজ্যের। ‘অপরাজিতা’ বিল পেশের দিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা বলেন, দায়িত্বশীল বিরোধী হিসাবে বিলটিকে পাশ করাতে সাহায্য করবেন তাঁরা। এটিকে আইনে পরিণত করার দায়িত্ব সরকারের।আর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালকে বলুন বিলে তাড়াতাড়ি অনুমোদন দিতে।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, রাজ্যপাল বিলটি অনুমোদন দিতে গড়িমসি করতে পারেন বা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন।সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই আগেভাগে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে বিলের প্রতিলিপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 











spot_img

Related articles

এসআইআর প্রক্রিয়ায় নজির! প্রথমবার ভোটারকে শো-কজ কমিশনের

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় এই প্রথম কোনও ভোটারকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, এক...

উত্তরপাড়া থেকে বাগদা! ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে বাড়ছে ক্ষোভ 

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক অসঙ্গতির অভিযোগ সামনে আসছে। কোথাও জীবিত মানুষকে মৃত বলে...

নোটিশ পাঠানো শুরু! প্রবীণ-অসুস্থ ভোটারদের বাড়িতে শুনানির ভাবনা নির্বাচন দফতরের

ইতিমধ্যেই রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে শুনানির নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়া। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন...

মানহানির অভিযোগে প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ কুমার শানু

সংগীতজগতে দীর্ঘ চার দশকের সাফল্যের কাহিনি থাকলেও ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্কে ফের শিরোনামে কিংবদন্তি গায়ক কুমার শানু। প্রাক্তন স্ত্রী...