জাতীয় সংগীত বদল হোক! বাংলাদেশে ভারত-যোগ মুছে ফেলার ইঙ্গিত ইউনুসের

প্রশাসনিক প্রধান মহম্মদ ইউনুস পাল্টা দাবি করেন, বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে যাওয়ার অপপ্রচার ভারত থেকে ছড়ানো হচ্ছে

বাংলাদেশে এবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীত বদলের ডাক দিল জামাত। রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত তাঁদের দেশের স্বতন্ত্রতাকে নষ্ট করছে বলেও দাবি করে তারা। যদিও এই দাবি ওঠার পরে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রতিবাদও শুরু হয়। তবে এই বক্তব্য উঠে আসার পরে তা প্রতিহত করা তো দূরের কথা, ভারত-বিরোধী আওয়াজে ফের সুর চড়ালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কার্যত বাংলাদেশের প্রশাসনের মদতেই যে জামাত ফের সক্রিয় ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তা অস্বীকার করলেও আদতে প্রমাণ করছেন ইউনুস।

জামাত-এ-ইসলামের নেতা আমির আজমের ছেলে আমান আজমি দাবি করেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে যে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় তা ভারতের তৈরি বলেও দাবি করেন আজমি। কার্যত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তাঁদের স্বাধীনতার পরিপন্থী দাবি করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার সোনার বাংলা’ তৈরি হয়েছিল দুই বাংলাকে মেলানোর জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তাই এই গান বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী।

যদিও জামাতের এই দাবির পরে গোটা বাংলাদেশে প্রতিবাদ শুরু হয়। বামপন্থী দলগুলি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানায়। শুক্রবার বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ হিসাবে প্রকাশ্যে জাতীয় সংগীতের আয়োজন করা হয়। উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দেশজুড়ে একই সময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

জামাতের এই দাবির পরেই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে ক্রমশ আফগানিস্তানের মডেলে শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়া নিয়েও। যেভাবে বিভিন্ন শিল্পের উপর আঘাত আনা হচ্ছে, তাতে আফগানিস্তানের তালিবানি শাসনের ছায়া দেখেন বামপন্থী আন্দোলনকারীরা। তবে প্রশাসনিক প্রধান মহম্মদ ইউনুস পাল্টা দাবি করেন, বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে যাওয়ার অপপ্রচার ভারত থেকে ছড়ানো হচ্ছে। তিনি পাল্টা তোপ দাগেন ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশ ইসলামিক রাষ্ট্র বা বিএনপি ইসলামিক সংগঠন সমর্থক বলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে তাতে লাগাম টানা উচিত ভারতের। কার্যত জামাতের ভারত বিরোধিতাকেই এক ধাপ পিছিয়ে প্রশ্রয় দেন ইউনুস। এমনকি ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকেও মুখ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।