জহরের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত, মন্তব্য করবে না দল: কুণাল ঘোষ

ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছি না। তাঁর সঙ্গে কোনও ভুল বোঝাবুঝি যেন না থাকে। একই সঙ্গে কোনও অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া যাতে না দেয়, তা তিনি চান না

জহর সরকার রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বলে দাবি তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের। সেই সঙ্গে তাঁর সিদ্ধান্তের সমালোচনা না করেই তাঁর উদ্বেগের কিছু অংশকে সমর্থন জানিয়ে দলের বৃত্তে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দেন তিনি।

রবিবারই তৃণমূল নেত্রীরকে চিঠি লিখে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সাংসদ জহর সরকার। কারণ হিসাবে তিনি মূলত আর জি করের ঘটনাকেই তুলে ধরেন। প্রশাসনের দুর্বল শাস্তি ও দেরিতে পদক্ষেপের সমালোচনা করেন তিনি। সেই সঙ্গে বেনিয়মে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও আগে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। এই কারণ উল্লেখ করে শুধুমাত্র তৃণমূলের সাংসদ পদ নয়, রাজনীতিও ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। কারণ গোটা দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের দুর্নীতি আরও বেশি বলে দাবি জহর সরকারের।

জহর সরকারের এই উদ্বেগের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক সৈনিক সহমত পোষণ করলেও দলের ভিতরে থেকেই সেই উদ্বেগ নিরসনের লড়াই চালাচ্ছে বলে বার্তা দেন কুণাল। তিনি বলেন, “উনি যে উদ্বেগগুলি প্রকাশ করেছেন বা কিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন তেমন উদ্বেগ অনেক তৃণমূলের সৈনিকের রয়েছে। জহরবাবু তাঁর মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার আমরা অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক যে ঘটনাই ঘটুক দলের বৃত্তে দাঁড়িয়ে দলের মঞ্চ থেকেই লড়াই চালাচ্ছি। ভুল ত্রুটি সংশোধন যদি প্রয়োজন হলে তা সংশোধন করে, সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে যে বিরক্তি ক্ষোভ উষ্মা ক্রোধ তৈরি হয়েছে, তা সদুত্তরে দলের মধ্যে থেকেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করছি।”

সেই সঙ্গে আর জি করকে ইস্যু করে রাজনৈতিক দলগুলি যে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে জহর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেই দাবি কুণালের। তিনি বলেন, “তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছি না। তাঁর সঙ্গে কোনও ভুল বোঝাবুঝি যেন না থাকে। একই সঙ্গে কোনও অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া যাতে না দেয়, তা তিনি চান না। সেই সঙ্গে কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি এবং কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

একটা খারাপ ঘটনার সময়ে কঠিন সময়ে তৃণমূলের সৈনিকের ভূমিকা নেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন কুণাল। এই পরিস্থিতিতে কুণালের মত, “নাগরিক সমাজের আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক দল বিষ ছড়াতে লেগেছে। এরকম একটা কঠিন সময়ে আমরাও চাই দল প্রশাসনিক স্পষ্ট ইতিবাচক পদক্ষেপ নিক। কিন্তু আমরা দলের মধ্যে থেকে পদক্ষেপ নিতেই বিশ্বাসী।”

Previous articleদীপবীরের সংসারে লক্ষ্মীর আগামন, কেমন আছে মা ও সন্তান!
Next articleমর্মান্তিক: বিল না মিটিয়ে পেট্রোল পাম্পের কর্মীকেই পিষে মারল পিকআপ ভ্যান!