তৃতীয় দিনেও অবস্থানে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সিনিয়র ডাক্তারদের (Senior Doctor) অনুরোধ, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। হলে তাঁরাও কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হবেন। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মধ্যস্থতাতেই সমস্যার সমাধান চাইছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
সিনিয়র ডাক্তারদের মতে, আন্দোলনকারীরা অবশ্যই কাজে ফিরতে চান। কিন্তু যখন দোষীরা গ্রেফতার হয়নি এবং প্রত্যেকটা মেডিক্যাল হাসপাতালেই এখনও হুমকি এবং সিন্ডিকেট চক্রের পান্ডারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সেখানে তাঁরা নিরাপদ বোধ করছেন না। জুনিয়র ডাক্তারদের অবিলম্বে কাজে ফিরবার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে পরোক্ষে চাপ বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সিনিয়র ডাক্তারদের। প্রতিদিন সংবাদপত্রে অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু ও ধর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত হাড়হিম করা তথ্য এবং দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত যে বিশাল চক্রের কথা সামনে আসছে সে বিষয়ে সরকারি তরফে কোনও বক্তব্য শোনা গেল না বলে অভিযোগ তাঁদের।
সিনিয়র ডাক্তারদের আবেদন, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করুন। একই সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাদের উপর যাতে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তার আবেদনও জানানো হয়। সেটা হলে তাঁরাও কর্মবিরতিতে যাবেন বলে মন্তব্য করেন সিনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা জানান রোগী পরিষেবা ঠিক রাখতে সিনিয়র ডাক্তাররা অতিরিক্ত পরিশ্রম করছেন। সরকার দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক- দাবি সিনিয়র ডাক্তাররা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ার দাবি করা হয়। সিনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি ই-মেইল করে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।