তিলোত্তমার পাশাপাশি সাবির-মতিদের বিচারের দাবি CMDA-এর

২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ইউপিএ সরকারকে হারিয়ে সরকার গঠন করে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি তথা এনডিএ-র জোট। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। সরকার গঠনের পর থেকে দেশজুড়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু-দলিত-আদিবাসীদের উপর লাগাম ছাড়া অত্যাচার চলছে! বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এর মাত্রা সীমা ছাড়িয়েছে। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হল কনফেডারেশন অফ মাইনোরিটিস এন্ড দলিতস্ এ্যাসোসিয়েশনের (সি এম ডি এ)।

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই হরিয়ানার গো-রক্ষকদের হাতে খুন হন বাসন্তীর শ্রমিক সাবির মল্লিক। তাঁকে পিটিয়ে খুন করে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানার গো-রক্ষক বাহিনী। জানা যায় সাবিরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে পিটিয়ে খুন করে গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা। পাশাপাশি হরিয়ানার ফরিদাবাদে গাড়িতে করে প্রায় ৩০ কিমি তাড়া করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আরিয়ান মিশ্রকে গুলি করে খুন করে গোরক্ষার ধ্বজাধারী দুষ্কৃতীরা। খুনিদের সন্দেহ হয়েছিল, আরিয়ানের গাড়িতে গোমাংস রয়েছে। এরপর সন্দেহের বশেই দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র আরিয়ান মিশ্রকে গোমাংস পাচারকারী সন্দেহে গুলি করে খুন করে গো-রক্ষকরা৷

এখানেই শেষ নয়। এর কিছুদিন পরই রাজস্থানে খুন হন আরও এক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। মালদহের বাসিন্দা ওই পরিযায়ী শ্রমিক রাজস্থানে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানেই তাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে জানা যায় খাওয়ার সময় সহকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ, সহকর্মীরা বেধড়ক মারধর করেন মতিকে। তাঁর পেটে গুরুতর চোট লাগে। অস্ত্রোপচারের পরও শেষরক্ষা হয়নি।

পাশাপাশি আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ন্যায়বিচারের পক্ষে সওয়াল করেছে  সি এম ডি.এ। পাশাপাশি সাবির মল্লিক ও মোতি আলিদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছে তারা।

তাঁদের দাবি-

১) সাবির মল্লিক মোতি আলি সহ গোরক্ষক বাহিনী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে নিহত পরিবার বর্গের পাঁচ লাখ টাকা এককালীন ক্ষতি পূরণ এবং পরিবারের একজনকে স্থায়ী সরকারি চাকরি।

২) স্বঘোষিত গোরক্ষক বাহিনী ও উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির তান্ডব রুখতে কঠোর আইন প্রনয়ণ করতে হবে। যে আইনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে ফাস্ট ট্রাক কোর্টে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

৩) পশ্চিম বঙ্গ থেকে বিভিন্ন বাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের যথাযথ নথিভুক্ত করণ এবং নিরাপত্তা বিষয়ে যথার্থ বিধি প্রনয়ণ।

৪) পশ্চিম বঙ্গে কুটির শিল্প ও শ্রম নিবিড় মাঝারি শিল্পের বিকাশে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, যাতে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমে।

৫) সমস্ত রকম সাম্প্রদায়িক কুৎসার বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।

আরও পড়ুন- জুনিয়র ডাক্তারদের অনড় মনোভাব হতাশাজনক: কাজে ফেরার ডাক ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চে’র