Exclusive: OC-র জেরায় অসংগতি খুঁজতে হিমশিম CBI

টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে (Abhijit Mandol) জেরা করতে গিয়ে মহা ফাঁপড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টে তদারকি মামলার শুনানি। এদিকে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ধর্নামঞ্চে যাওয়ায় আন্দোলন প্রায় স্তিমিত হয়ে আসে । এই পরিস্থিতিতে তদন্ত এগোচ্ছে এটা বোঝাতে শনিবার রাতে তড়িঘড়ি টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু এখন জেরা করতে গিয়ে আইনি যুক্তিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা- এমনটাই খবর CBI সূত্রের।CBI সূত্রে খবর, মূলত তিনটে প্রশ্নের উত্তরে অসংগতি খোঁজার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, সব প্রশ্নেরই জবাব স্ট্রেট ব্যাটে খেলছেন অভিজিৎ।

১ নম্বর প্রশ্ন: আর জি করের মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও নির্যাতিতা চিকিৎসক পড়ুয়াকে অচৈতন্য লিখলেন কেন?
OC- উত্তর: এটাই নিয়ম। যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক দেহ দেখে মৃত বলে ঘোষণা না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ কোনওভাবেই মৃত লিখতে পারে না। অন্য সব কেসের ক্ষেত্রেই একই ভাবে অভিযোগ নেওয়া হয়। এর পরে চিকিৎসা ঘোষণা করায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারপর খুনের মামলার রুজু হয়েছে।
২ নম্বর প্রশ্ন: টালা থানার থেকে আর জি কর হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র ৭ মিনিট। সে ক্ষেত্রে আপনার পৌঁছতে এক ঘণ্টা লাগল কেন?
OC- উত্তর: ঘটনাটি ঘটেছে সকালে। আমি তখন নিজের বাড়িতে ছিলাম। খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত তৈরি হয়ে বাড়ি থেকেই সোজা ঘটনাস্থলে যাই। সে ক্ষেত্রে আমার বাড়ি থেকে তৈরি হয়ে আর জি কর হাসপাতাল পৌঁছতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। সকালে আমি থানায় ছিলাম না। সুতরাং থানা থেকে হাসপাতালে দূরত্ব মেপে লাভ নেই। আমার লোকেশন ট্র্যাক করলেই দেখা যাবে, আমি বাড়ি থেকে আর জি করে এসেছি।
৩ নম্বর প্রশ্ন: ঘটনা ঘটার পরেই আপনি আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করেন কেন?
OC- উত্তর: এটাই তো স্বাভাবিক। এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে। যে প্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটেছে তার শীর্ষ কর্তাকে এই ঘটনা জানানো পুলিশের কর্তব্য। আর এই ঘটনা সম্পর্কে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোও আমার ডিউটির মধ্যেই পড়ে।একটা সূত্র খবর, মঙ্গলবার আরেকটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে হবে সিবিআইকে। সেখানে তদন্ত যে এগোচ্ছে সেটা দেখাতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আর এদিকে শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে এবং তাঁদের বাড়িতে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ফ্রন্ট ফুটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে বেনজির সৌজন্য দেখিয়ে তিনি হাতজোড় করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নিজের বাড়ির ভিতরে ডেকেছেন, সেটা এক কথায় অতুলনীয়। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ছে। এই পুরো ইস্যু চাগিয়ে রাখতে তড়িঘড়ি টালা থানার ওসিকে শনিবার রাতেই গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এখন জেরা করে কেস ডায়েরি লিখতে গিয়ে উল্টে তারাই হিমশিম খাচ্ছে বলে সূত্রের খবর।










Previous articleফের অগ্নিকাণ্ড, তপসিয়ার কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে লড়ছে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন
Next articleবিক্ষোভে ইভেন্ট প্রমোটার এখন কিছু টিভি চ্যানেল