হুগলিতে বানভাসিদের সঙ্গে কথা, রাতেই মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী

মুণ্ডেশ্বরীর (Mudeswari river) বাঁধ ভেঙে প্লাবিত শ্রীরামপুর (Sreerampur) পঞ্চায়েত এলাকা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী

বরাবর বন্যা পরিস্থিতি নিজে গিয়ে পরিদর্শনেই বিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের আধিকারিকদের ১০ জেলার দায়িত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও বুধবারই হাওড়া হয়ে হুগলির (Hooghly) প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতেই তিনি যাবেন মেদিনীপুর (Medinipur)।

বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়া হয়ে হুগলিতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। পুরশুড়ায় যাওয়ার পথে একটি সেতুর ওপরে বহু বানভাসি মানুষকে দেখে গাড়ি থামান। কথা বলেন বন্যা কবলিত মানুষজনের সঙ্গে। বন্যার জল পুরশুড়ার (Pursura) রাস্তার কাছে চলে আসায় আতঙ্কিত হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন যেন দ্রুত এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মুণ্ডেশ্বরীর (Mudeswari river) বাঁধ ভেঙে প্লাবিত শ্রীরামপুর (Sreerampur) পঞ্চায়েত এলাকা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

দামোদরের (Damodar) জলে প্লাবিত হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। মুখ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই অভিযোগ জানান, গ্রামের মানুষ তাঁদের বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইছেন না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। একের পর এক এলাকায় গাড়ি থামিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। পর্যাপ্ত ত্রাণ শিবির ও সেখানে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রশাসনকে। পুরশুড়ায় পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ মিতালি বাগ, মন্ত্রী বেচারাম মান্না সহ বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়, অসীমা পাত্র।