কোন সূত্রে রি-ওপেন করা যায় ধনঞ্জয়ের ফাঁসির মামলা! দেখছে আইন দফতর

২০ বছর পেরিয়ে গিয়ে ফের প্রসঙ্গিক ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যাময়ের (Dhananjay Chatterjee) ফাঁসির মামলা। দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল ওই ঘটনায় দোষী নন ধনঞ্জয়। সেই মামলার পুনর্বিচারের দাবি ফের জোরাল হচ্ছে। মঙ্গলবার এই বিষয় নিয়ে একটি সভা হয় কলকাতার রাণুচ্ছায়া মঞ্চে। এবার ওই মামলা কীভাবে ‘রি-ওপেন’ করা যায় তার আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Maloy Ghatak) সঙ্গে দেখা করেন চন্দ্রচূড় গোস্বামী, জীবন চক্রবর্তী-সহ অনেকেই।সোমবারই ধনঞ্জয়ের গ্রাম বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে কলকাতায় রবীন্দ্রসদন চত্বরে রাণুছায়া মঞ্চে পুনর্বিচার চেয়ে সমাবেশ করেন সেখানকার বাসিন্দারা। চন্দ্রচূড় গোস্বামী ও জীবন চক্রবর্তী নেতৃত্বে সমাবেশ করেন ‘ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ‘। পরে মঞ্চের সদস্যররা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। মুখ্য মন্ত্রীকেও ধনঞ্জয় মামলার পুনর্বিচার চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মঞ্চের সদস্য রা। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, রাজ্য পাল, মুখ্যষমন্ত্রী, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও চিঠি দিয়েছে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যাচয় (Dhananjay Chatterjee) মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ।১৯৯০ সালের ৫ মার্চ ভবানীপুরের আনন্দ অ্যািপার্টমেন্টে কিশোরী হেতাল পারেখকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনায় যুক্ত অভিযোগে বাঁকুড়ার ছাতনার কুলুডিহি গ্রামের বাসিন্দা ওই আবাসনের নিরাপত্তাকর্মী ধনঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। ২০০৪ সালের ১৪ অগাস্ট ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফাঁসি হয় ধনঞ্জয়ের। তারপর কেটে গিয়েছে ২০ বছর। তবে ‘ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ-এর‘ অভিযোগ সেদিন কলকাতার প্রভাবশালীদের মন রাখতেই তৎকালীন বাম মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সঠিক বিচার হতে দেননি। ফের সেই মামলা পুনর্বিচারের দাবিতে সোমবার মঞ্চর পক্ষে থেকে রাণুছায়া মঞ্চে সভার আয়োজন হয়।

রাজ্যের আইন দফতর সূত্রে খবর, ফাঁসি হয়ে যাওয়ার ২০ বছর পরে কোন সূত্র ধরে মামলা ‘রি-ওপেন’ করা যায় তা জানতে বিশিষ্ট আইনজীবীদের মতামত নিচ্ছেন সরকারি অফিসাররা। সেইসময়ে যে আইনজীবীরা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কাউকে পাওয়া যায় কি না দেখা হচ্ছে।









Previous articleপ্রয়াত ১৯৯০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল জয়ী স্কিলাচ্চি
Next articleশিল্পের উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা পেশ মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির