Saturday, November 22, 2025

‘ম্যান মেড’ বন্যা: পুরশুড়ায় দাঁড়িয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী

Date:

Share post:

বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে হুগলির পুরশুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্লাবিত এলাকায় দাঁড়িয়ে ঝাড়খণ্ড ও ডিভিসির (DVC) উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। এই বন্যা ‘ম্যান মেড’ বলে দাবি করলেন তিনি। কেন্দ্র সরকারের অবহেলাকেও তোপ দাগেন তিনি। জলাধার রক্ষণাবেক্ষনে কেন্দ্রের উদাসীনকেই দায়ী করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) সঙ্গে ফোন কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও ক্রমাগত ডিভিসি (DVC) থেকে জল ছাড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “২০০৯ সালের পরে এত জল আগে কখনও ছাড়েনি। সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। নিজেদের রাজ্যে বাঁচানোর জন্য এই জল ছাড়া হয়েছে। পরিকল্পিত ম্যান মেড বন্যা (man made)।” বন্যা পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভে ফুঁসে তিনি অভিযোগ করেন, “এত জল জীবনে ছাড়েনি। কী পরিস্থিতি দেখুন, দেখুন কী স্রোত। সব বাংলার উপর ঠেলে দাও।”

প্রতিবেশী রাজ্যের জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আগেই বিভিন্ন সময়ে অল্প অল্প করে জল ছাড়লে এই পরিস্থিতি হয় না। একসঙ্গে জল ছাড়লেই প্লাবিত হয়। যখন ৮০ শতাংশ জল থাকে তখন কেন ছাড়ো না?”

তবে যে কারণে জলাধারে জল ধরে রাখা সম্ভব হয়নি, সেই রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, “কেন্দ্র সরকার ড্রেজিং (dredging) করলে আরো দু লক্ষ কিউসেক জল ধরে রাখতে পারত ডিভিসি (DVC)।” কেন্দ্রের অবহেলার জন্য বারবার বাংলার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।

spot_img

Related articles

রিল-রিয়েল একাকার! ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’-এ থানায় ছুটলেন মদন

একেই বোধহয় বলে, "ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে"। "দাদা একটু আসুন, আপনি না এলে হবে না", "আমার নির্দোষ...

প্রিমিয়ারেই জমজমাট গৃহকর্মীদের রোজনামচার ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী ওঁরা রোজ আসেন, রোজ কাজ করেন, সমস্ত রকম নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের পরিষেবা দেন। কিন্তু ওঁদের নিয়ে গল্প...

টেকনিশিয়ানদের টাকা বাকি রেখে কুৎসা রটাচ্ছেন রুদ্রনীল! তথ্য দিয়ে ধুয়ে দিলেন স্বরূপ

নিজে টাকা বাকি রেখে উল্টে ফেডারেশনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়াচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)! শুক্রবার সাংবাদিক...

কাজের চাপে শীতলকুচিতে মর্মান্তিক মৃত্যু বিএলও-র! পরিবারের পাশে রাজ্য

অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা—এই দুইয়ের মাঝেই শেষ হল শীতলকুচির বিএলও ললিত অধিকারীর জীবনযাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরেই...