Tuesday, August 26, 2025

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হল ‘এক দেশ এক ভোট’ (One nation one election) নীতি। সংশোধনীতে সম্মতি জানালো মন্ত্রিসভা (cabinet)। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফের সরাসরি বিরোধিতা করা হল এই আইনের। ভারতের সংবিধান মেনে কীভাবে এই নীতি কার্যকর করা সম্ভব, তোলা হল প্রশ্ন। সেই সঙ্গে মুষ্টিমেয়র পরামর্শ নিয়ে তৈরি নীতি কার্যকর করতেও আপত্তি জানানো হয়েছিল আগেই তৃণমূলের তরফে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর (federal structure) ধারক বাহক রাজ্যগুলির পরামর্শ ছাড়াই এই আইন কার্যকরের পথে কেন্দ্র, অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পরই গোটা দেশে বিরোধীরা সরব হয়েছেন এই প্রস্তাবের বিরোধিতায়।

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগেই ‘এক দেশ এক ভোট’ (One nation one election) কার্যকর করার তোড়জোড় শুরু করে কলকাঠি নাড়া শুরু করেছিল। সেই সময়ই বিরোধীরা একযোগে এই নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন। জানুয়ারি মাসে এই আইন প্রণয়নের প্রস্তুতির হাই লেভেল কমিটিকে পরামর্শ গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানেই জানানো হয়েছিল এই নীতি সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। ভারতের সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সমর্থন করে। সেই অনুযায়ী দেশে কেন্দ্র ও রাজ্যের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া এক হয়ে গেলে সংবিধানের অবমাননা হবে বলে দাবি তোলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে।

সেই সঙ্গে দাবি তোলা হয় ইস্যুভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও। স্থানীয় নির্বাচনের সঙ্গে দেশের নির্বাচনের ইস্যুর বিস্তর ফারাক। সেক্ষেত্রে কীভাবে একসঙ্গে নির্বাচন হবে, প্রশ্ন তোলে তৃণমূল (TMC)। যে হাই লেভেল কমিটি (High level commettee) সমীক্ষা করেছে, তাকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলে সরাসরি অভিযোগ তোলে রাজ্যের শাসকদল। যাঁরা ‘এক দেশ এক ভোট’ সমর্থন করেন তাঁদের মতামত যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই যাঁরা এর বিপক্ষে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়নি, স্পষ্ট অভিযোগ করে তৃণমূল।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশের পরেই তৃণমূল সরাসরি এই নীতির বিরোধিতা করে। তৃণমূলের পাশাপাশি দেশের সব বড় রাজনৈতিক দল এই নীতির বিরোধিতা করে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) দাবি করেন, “এক দেশ এক ভোট নির্বাচনে জেতার বিজেপীয় পন্থা। এটি সংবিধান বিরোধী, গণতন্ত্রের বিরোধী এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিরোধী।” এই নীতির বিরোধিতা করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় আপ (AAP), সমাজবাদী পার্টি (SP), শিবসেনা (উদ্ধব শিবির)।

Related articles

দুদিন ছুটি বৃষ্টির! তবুও থাকছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে ফের ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। যার প্রভাব ওড়িশা ও বাংলার...

অনেক প্রেরণা তাঁরই: জন্মদিবসে মাদার টেরেসাকে স্মরণ মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি যত না ছিলেন ম্যাসিডোনিয়ার তার থেকেও বেশি ছিলেন ভারতের, এই বাংলার। যাঁদের বেঁচে থাকার কোনও আশাই ছিল...

সবার ভালোবাসা লালবাগচা রাজাকে, মুম্বইয়ের গণেশ পুজোয় টক্কর দিতে তৈরি অন্যরাও

মুম্বইয়ের লালবাগের রাজাকে (Lalbaugcha Raja) কে না চেনে। সারাবছর আখ্খা মুম্বইকর অপেক্ষা করেন তাঁর ঝলক দর্শনের জন্য। এবছরও...

প্রাথমিক টেট-এর তথ্য ফাঁস হয়নি, বিভ্রান্তি কাটিয়ে জানালো পর্ষদ

নতুন জালিয়াতির বিরুদ্ধে কড়া রাজ্যের শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক টেট-এর (Primary TET) তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি...
Exit mobile version