কন্যাশ্রী-রূপশ্রীতে জীবনে উন্নতি: প্রশংসায় UNICEF-এর

মনজুর হোসেন দাবি করেন কন্যাশ্রী (Kanyashree) প্রকল্প ও রূপশ্রী (Rupashree) প্রকল্প সামাজিক জীবনের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ

বাংলার মানুষের জন্য একের পর এক সামাজিক প্রকল্প এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ আর জীবনের মানোন্নয়নে যে পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন তা যে বাস্তবেই মানুষের সামাজিক জীবনে উন্নতি এনেছে, তার স্বীকৃতি মিলল এবার ইউনিসেফের (UNICEF) থেকে। রাজ্যের সমীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক মনজুর হোসেন (Monjur Hossain) দাবি করলেন রাজ্যের মহিলাদের জন্য প্রকল্পে বাস্তবেই সামাজিক মর্যাদা এনে দিয়েছে।

স্কুল স্তরে মেয়েদের শিক্ষা যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সেই উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনেছিলেন কন্যাশ্রী প্রকল্প (Kanyashree)। রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮৭ লক্ষের বেশি ছাত্রীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। অন্যদিকে কন্যার বিবাহে বাধার সমস্যা কাটাতে চালু হয়েছিল রূপশ্রী প্রকল্প (Rupashree)। বিয়ের সময় বর্তমানে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান পায় পরিবারগুলি। রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে গোটা দেশে আলোচনা জারি রয়েছে। কংগ্রেস বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল পরিচালিত রাজ্যগুলি তো বটেই, বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যে বারবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অনুকরণ করতে দেখা গিয়েছে। এবার কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরলেন ইউনিসেফের আধিকারিক।ইউনিসেফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের (UNICEF West Bengal) ফিল্ড অফিসার বিভাগের প্রধান মনজুর হোসেন দাবি করেন কন্যাশ্রী (Kanyashree) প্রকল্প ও রূপশ্রী (Rupashree) প্রকল্প সামাজিক জীবনের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই রাজ্যে। ‘ইমপ্যাক্ট ইস্ট ২০২৪’ (Impact East 2024) কনক্লেভে প্রকাশ্যে তিনি বাংলার ছাত্রী থেকে যুবতীদের জন্য আনা প্রকল্পের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বাংলায় যেভাবে পোলিও (Polio) নির্মুল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাও অনুসরণীয় বলে দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে ভারতের পূর্বের রাজ্যগুলিতে মানুষের দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক মানোন্নয়নের উপর তিনি জোর দেন।

Previous articleবেপরোয়া গতির জেরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে দুর্ঘটনা!
Next articleবিজেপি স্টিকারেই ঘাতক গাড়ি চালকের ‘মুক্তি’! হরিয়ানায় বাইকারের মৃত্যুতে প্রশ্ন