দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি, DVC-র জল ছাড়ার দিকে নজর আজও

দুদিনের কড়া রোদে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal flood affected areas) বিস্তীর্ণ এলাকায় সামান্য হলেও বন্যার জল নেমেছে। ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে আসতে শুরু করেছে। রাত জেগে ত্রাণ বিলিতে ব্যস্ত প্রশাসনিক কর্তা থেকে বিপর্যয় মোকাবালা টিম। হুগলি, হাওড়া, মেদিনীপুরের প্লাবিত এলাকায় এক বুক জলে হেঁটে বাড়ি বাড়ি খাবার ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। জল সামান্য নামতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে মাটির বাড়ি। এর মাঝেই ডিভিসি (DVC) নতুন করে জল ছাড়বে কি, রাজ্যের নজর সেই দিকে।

দুর্যোগ এখনই কাটছে না। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী নিম্নচাপের আশঙ্কায় মাথায় হাত বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। যদিও গত দু-তিন দিনের সেই ভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জল নেমেছে অনেক জায়গা থেকেই। গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের দু-একটি পকেট ছাড়া প্রায় সব এলাকা থেকেই বন্যার জল নেমে গেছে বলে খবর। তবে রাজ্য সড়কের কমপক্ষে তিনটি জায়গায় রাস্তার অনেকটা অংশ ভেঙে গেছে। মুণ্ডেশ্বরী ও দামোদরের জল একটু হলেও কমলেও হুগলির খানাকুলের পরিস্থিতির সেরকম উন্নতি হয়নি। রাজহাটি, নন্দনপুর, জগৎপুর, মাড়োখানা, হানুয়ার মতো জায়গায় ১৫ থেকে ১৭ ফুট জল জমে আছে। অন্যদিকে, ঘাটাল, দাসপুর, ডেবরা, কেশপুরের প্লাবিত এলাকা থেকে জল নামছে খুব ধীর গতিতে। এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বেশ কিছু এলাকা। নতুন করে জল না ছাড়ায় পাঁশকুড়ায় জল নামতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া দফতরের (Weather Department) পূর্বাভাস অনুযায়ী জোড়া ঘূর্ণাবর্তে জেরে সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। এই কথা মাথায় রেখে DVC কি আজ জল ছাড়বে? শনিবার মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার মিলিয়ে মোট ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আজ কতটা জল ছাড়তে চলেছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন, এবং তার জেরে বন্যা পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়ায় সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।