গণহত্যার ঘটনায় ৪ দশক পর ১৩ জনের যাবজ্জীবনের নির্দেশ সিউড়ি আদালতের

কোটা গ্রামের গণহত্যার রায় ঘোষণা করল বীরভূমের (Birbhum) অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। বাম আমলে ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের সোমবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রায় ৪ দশকের বেশি সময় ধরে চলা ওই মামলার দোষীদের মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের বেশিরভাগই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন। ঠিকমতো হাঁটতে চলতে পারেন না। সোমবার দোষী সাব্যস্ত à§§à§© জনকে ধরে ধরে ভ্যানে তোলে পুলিশ (Birbhum)।১৯৮১ সাল। মাড়গ্রাম থেকে ছয় ভাই ও তিনজন প্রতিবেশী ময়ূরেশ্বর থানার কোটা গ্রামে আসেন বোন ফরিদা বিবির বাড়িতে। বোনের ছেলে অর্থাৎ ভাগ্নে সুস্থ হওয়ার জন্য সেখানে সুফি গানের আসর বসে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাসীদের একাংশ। ওই ৯ যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় ভয় পেয়ে বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে যায় তাঁরা। সেখানে তাঁদেরকে প্রাণে মেরে ফেলতে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ওই রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়ায় রান্নাঘর থেকে অভিযুক্তরা বাইরে বের করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে মেরে ফেলে তাঁদের। পুলিশ ঘটনায় ১৯৮৬ সালে মৃতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। তার মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেষে à§§à§© জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।সোমবার অভিযুক্ত à§§à§© জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয় বীরভূমের (Birbhum) আদালত। এদিন সরকারি পক্ষের আইনজীবী বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশই মারা গিয়েছেন। তাঁদের মৃত্যুর রিপোর্ট আদালতে জমা পড়তে পড়তে পরের তারিখে হয়তো আবার কোনও অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। এই কারণেই মামলা শেষ হতে এত দেরি হল।”