স্মরণসভায় যেখানে উল্লেখযোগ্য সদর্থক স্মৃতিচারণই রীতি, সেখানে উল্টে প্রয়াত নেতা এবং তাঁর দলকেই বিঁধলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লা। ১২ সেপ্টেম্বর দিল্লির এইমস- মারা যান সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্মরণসভা করা হয়েছে। শনিবার দিল্লির তালকাটরা স্টেডিয়ামে দলের তরফে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই সীতারাম ও তাঁর দলকে তীব্র সমালোচনার মুখে ফেললেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আব্দুল্লা।

শনিবারের এই স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের বহু নেতৃত্ব। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সিপিআই-র ডি রাজা, সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, আরজেডির মনোজ ঝা, সিপিএমের প্রকাশ কারাট, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা প্রমুখ। ইয়েচুরির স্মৃতি রোমন্থনে করেন তাঁর দলীয় সতীর্থ ও অন্যান্যরা। কিন্তু তালকাটরা স্টেডিয়ামে স্মরণসভার তাল কাটলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক। তিনি বলেন, এক সময়ে জ্যোতি বসুকে বাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলাম। সীতারাম ও ওঁদের দল তা হতে দেয়নি। জ্যোতি বসু সেই সময় প্রধানমন্ত্রী হলে আজ দেশের ছবি অন্যরকম হত। এই কথায় বাম নেতৃত্ব কতটা অস্বস্তিতে পড়েছিলেন সেটা জানা না গেলেও, ফারুকের এই বক্তব্যের পর গোটা স্টেডিয়ামে হাততালির ঝড় ওঠে।

এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, সীতারাম আমার বন্ধু ছিলেন। উনি ইন্ডিয়া ও ইউপিএর কাঠামো তৈরি করেছিলেন। উনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যাঁকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যেত।

আরও পড়ুন- ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের নদী, আবহাওয়ার উন্নতি হলেও বন্যা দুর্দশা অব্যাহত দক্ষিণবঙ্গের


কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ইন্ডিয়া জোট গঠনে মূল ভূমিকা ছিল সীতারাম ইয়েচুরিরই। কিন্তু তিনি কোনওদিন ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেননি। যাঁর ক্রেডিট নেওয়া উচিত ছিল তিনিই চলে গেলেন। তবে স্মরণ সভায় গিয়ে সেই ব্যক্তির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা সত্যি বেনজির।
