ফের রাজ্যের মানুষ চিকিৎসা বিভ্রাটের মধ্যে পড়তে চলেছে মঙ্গলবার থেকে। পূর্ণকর্মবিরতির ডাক দেওয়া জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior doctors) মঙ্গলবার সকালে ফের নিজেদের পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিজেরাই স্বীকার করলেন। সেই সঙ্গে তাঁরা দাবি করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ময়নাতদন্তে (postmortem) সম্মতি জানালেও তার ফলাফল নিয়ে কোনও দায় জুনিয়র ডাক্তারদের নেই। পাল্টা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের প্রশ্ন কীভাবে সেই জুনিয়ররাই আর জি কর কমিটিতেও এলেন। সেই সঙ্গে কুণালের প্রশ্ন কাদের বুদ্ধিতে তাঁরা এই কর্মবিরতির পথে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে ময়নাতদন্ত (postmortem) ও চেস্ট মেডিসিন বিভাগ (chest medicine department) পুণর্নির্মাণের কাজে সম্মতি জানিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা। এই তথ্য সামনে আসার পরই কার্যত বেকায়দায় পড়া জুনিয়র চিকিৎসকরা এবার রাজ্যের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে বেকায়দায় ফেলতে চাইছেন। এপ্রসঙ্গেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “ময়নাতদন্ত, দেওয়াল ভাঙার যে নথি সামনে এসেছে, যে জুনিয়র ডাক্তারদের সই, তাঁরা মিডিয়াকে বলুন ১)নথি সই আসল না ভুয়ো? ২)আসল হলে এসব নিয়ে কুৎসার জবাবে নীরব কেন?”

সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “সই মানে তো উপস্থিতি, সঠিকের মান্যতা। আপত্তির চিহ্ন নেই। আপনারাই আবার প্রতিবাদী, আর জি করের কমিটিতেও এলেন, কীভাবে?” রাজ্যে কঠিন বন্যা পরিস্থিতি। এই সময় যে কোনও সময়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে যাওয়ায় তাঁদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “উৎসবের মরশুম অন্যদিকে বন্যা। এই পরিস্থিতিতে আবার কর্মবিরতি কারা করছেন, কাদের পরামর্শে করছেন, কেন করছেন। সাধারণ মানুষ যারা সরকারি পরিষেবা নিতে হাসপাতালে যান, আপনারা তাঁদের বাধ্য করছেন প্রাইভেট নার্সিং হোমে বেশি খরচ করে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে। কাদের বুদ্ধিতে কোন উদ্দেশ্যে এত মানুষের চিকিৎসার জরুরি পরিষেবার দরকার হতে পারে। সেখানে সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে এই পরিস্থিতি তৈরি করছেন।”

মঙ্গলবার নিজেদের পক্ষে সাফাই দিতে নামেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দ্বিচারিতার পর্দাফাঁস হতেই সঠিক তথ্য প্রমাণের উপর প্রশ্ন তুলতে থাকেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা স্পষ্ট মেনে নেন ময়নাতদন্তে তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা দাবি করেন, “কোনওভাবেই ময়নাতদন্তে (postmortem) স্বচ্ছতার দায় জুনিয়র ডাক্তারদের বর্তায় না। কারণ আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞান নিয়ে ওই মুহূর্তে আমাদের পক্ষ থেকে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম যাতে এই নারকীয় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যার মুখোশ না পরানো হয়।”

