স্বাক্ষর থাকলেও দায় বর্তায় না! ‘আজব’ যুক্তি জুনিয়র ডাক্তারদের, কত জন খুনি? প্রশ্ন CBI-এর কাছে

আর জি করের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সই ছিল à§© জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু তাও সেই রিপোর্টে তাঁদের কোনও দায় নেই। মঙ্গলবার, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই আজব যুক্তি দিলেন বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফন্ট্রের (Junior Doctor’s Front) পক্ষ থেকে কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda)। আর জি করে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্বাক্ষর রয়েছে আন্দোলনকারী à§© চিকিৎসকের। এদিকে সেই রিপোর্ট কারচুরি অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং জুনিয়ার ডাক্তাররাই। এই দ্বিচারিতার নিয়ে প্রবল সমালোচনা হতেই, পাল্টা আন্দোলনকারীদের দাবি, “ময়নাতদন্তের স্বচ্ছতার দায় আমাদের উপর বর্তায় না।“এদিন জুনিয়র ডক্টরস ফন্ট্রের (Junior Doctor’s Front) তরফে জানানো হয়, “৯ অগস্ট সকালে আমরা খবর পাই চেস্ট বিভাগের সেমিনার রুমে এক জন পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি আত্মহত্যা নয়, ধর্ষণ-খুন হয়েছে। ময়নাতদন্ত নিয়ে সমাজমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ওই চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে। ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয়। ওখানে জুনিয়র ডাক্তারদের সই থাকলেও ময়নাতদন্তের স্বচ্ছতার দায় আমাদের উপর বর্তায় না।“ এর পরে আরও অদ্ভূত যুক্তি দেন কিঞ্জল। “আমরা চেয়েছিলাম, কোনও ভাবেই যেন ওই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া না হয়। আমাদের স্বল্প জ্ঞানে সেই চেষ্টাই করেছিলাম। সমাজমাধ্যমে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।“তাহলে, সেদিনই তাঁরা এই ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বিরুদ্ধে বলেননি কেন? কেন বললেন না, যা রিপোর্ট লেখা হয়েছে-সেটা তাঁরা বোঝেননি। এখন সব তথ্য সামনে আসার পরে এই মন্তব্য শুধু মুখ বাঁচানোর চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিকে, আরেক জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাত (Aniket Mahato) দাবি তোলেন, চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পিছনে কী ‘মোটিভ’ ছিল, কত জন জড়িত ছিল- সব স্পষ্ট করতে হবে সিবিআইকে। অনিকেতের কথায়, “ঘটনায় এক জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তদন্তে টালবাহানার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার ওসি। কিন্তু প্রকৃত দোষী কারা? আমরা প্রথমদিন থেকেই বলে আসছি, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই অনুমান সত্য কি না, সেটা অন্তত স্পষ্ট করে জানাক সিবিআই! জানানো হোক, ঘটনার নেপথ্যে কী ‘মোটিভ’ ছিল?“ দোষীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

আর এই সবের মধ্যে ফের ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।