আর জি করের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সই ছিল ৩ জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু তাও সেই রিপোর্টে তাঁদের কোনও দায় নেই। মঙ্গলবার, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই আজব যুক্তি দিলেন বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফন্ট্রের (Junior Doctor’s Front) পক্ষ থেকে কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda)। আর জি করে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্বাক্ষর রয়েছে আন্দোলনকারী ৩ চিকিৎসকের। এদিকে সেই রিপোর্ট কারচুরি অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং জুনিয়ার ডাক্তাররাই। এই দ্বিচারিতার নিয়ে প্রবল সমালোচনা হতেই, পাল্টা আন্দোলনকারীদের দাবি, “ময়নাতদন্তের স্বচ্ছতার দায় আমাদের উপর বর্তায় না।“
এদিকে, আরেক জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাত (Aniket Mahato) দাবি তোলেন, চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পিছনে কী ‘মোটিভ’ ছিল, কত জন জড়িত ছিল- সব স্পষ্ট করতে হবে সিবিআইকে। অনিকেতের কথায়, “ঘটনায় এক জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তদন্তে টালবাহানার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং টালা থানার ওসি। কিন্তু প্রকৃত দোষী কারা? আমরা প্রথমদিন থেকেই বলে আসছি, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই অনুমান সত্য কি না, সেটা অন্তত স্পষ্ট করে জানাক সিবিআই! জানানো হোক, ঘটনার নেপথ্যে কী ‘মোটিভ’ ছিল?“ দোষীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
আর এই সবের মধ্যে ফের ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।