দেখতে দেখতে বাঙালির প্রাণের উৎসব (Durga Puja festival comes to an end today) প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে আজ সকালেই দশমীর উপচার পালন। যদিও বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে যেখানে পুজো হয় সেই সব প্রতিষ্ঠান বা বনেদি বাড়িতে আজ নবমী তিথি পালিত হবে। কিন্তু পঞ্জিকা যাই বলুক না কেন, বাঙালির আবেগের উৎসব কি আর সময়ের বাঁধাধরা নিয়ম মানতে পারে? মহালয়া থেকে যেভাবে মানুষের ভিড় শুরু হয়েছিল, চলতি বছরে দুর্গাপুজোর (Durga Puja crowd) অন্তিম লগ্নে তা অন্যান্য বছরের মতোই চেনা জনসুনামির আকার নিয়েছে। জেলা থেকে শহর রাজ্যে সর্বত্র একই ছবি।

উৎসবের অফিশিয়াল শেষ দিন আজ, শনিবার। তাই সকাল হতে না হতেই সেজেগুজে মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়া। অষ্টমী-নবমী একই দিনে হওয়ার কারণে পুজো উদ্যোক্তাদের শুক্রবার যে ব্যস্ততার মুখোমুখি হতে হয়েছিল শনিবার তা কিছুটা হলেও কম। যদিও নবমীর হোম যজ্ঞে সকাল থেকেই বিধি মেরে পুজো শুরু বেলুড় মঠে। রাজ্য তথা দেশ জুড়ে সমস্ত রামকৃষ্ণ মঠে (Ramakrishna Math Ramakrishna Mission) এই নিয়ম পালন করা হচ্ছে। শুক্রবার সারারাত ঠাকুর দেখে কারোর পায়ে নতুন জুতোর ফোসকা, কেউ আবার ‘অদ্যই শেষ রজনী’ মানতেই চাইছেন না। ভিড়ের নিরিখে কলকাতার পুজোগুলোকে (Kolkata Durga Puja) টক্কর দিয়েছে হাওড়া-হুগলি-উত্তর ২৪ পরগনা এমনকি উত্তরবঙ্গের পুজোও। নবমী নিশিতে বাগবাজার সর্বজনীন চেনা ভিড়ের মাঝে অচেনা প্রেমের হাতছানি, আবার সপরিবারে সুরুচি সংঘ (Suruchi Sanghya) কিংবা শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে (Sreebhumi Sporting Club) ফেলে আসা দিনগুলোকে নতুন করে স্মৃতিচারণায় তুলে ধরা। কেউ এসেছেন একা কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে, কেউ আবার ব্যস্ত জমিয়ে রান্না করে প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে। কচিকাঁচাদের হাতে বেলুন, দীর্ঘ লাইনে হাঁটতে হাঁটতে পায়ে ব্যথা হওয়ায় বাবা মার কোলে উঠতে হয়েছে বারবার, তবুও ঠাকুর দেখার যেন শেষ নেই। এক কথায় তারকা থেকে সাধারণ মানুষের উৎসাহে উজ্জ্বল বাঙালির শ্রেষ্ঠ শারদোৎসব।
