দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই দুই রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India)। তবে শেষ দুই নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে বিরোধী রাজ্যে দুই দফায় নির্বাচন ঘোষণা কমিশনের। ক্রমাগত সমালোচনার মুখে পড়া মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি অবশ্য এক দফাতেই নির্বাচনে অংশ নেবে। সদ্য বাবা সিদ্দিকির খুন ও পরপর ধর্ষণ, নারী নির্যাতনে জর্জরিত মহারাষ্ট্রে কঠিন পরীক্ষার মুখে বিজেপি ও জোট সঙ্গীরা। অন্যদিকে জেল থেকে মুক্তি পাওয়া হেমন্ত সোরেনের কাছে ক্ষমতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand)।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে নির্বাচন হবে ২০ নভেম্বর। নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ২০ অক্টোবর। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে এক দফাতেই (one phase) নির্বাচন হবে। একদিকে বিজেপি, শিবসেনা শিণ্ডে গোষ্ঠী ও অজিত পাওয়ার এনসিপি জোটের মহাযুতি জোট (Mahayuti Alliance); বিপরীতে কংগ্রেস, শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠীর সঙ্গে শারদ পাওয়ার এনসিপির মহা বিকাশ অগাধির (Maha Vikas Aghadi) জোট। বিজেপির কাছে যেমন ১০৫ আসন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে বিরোধী জোটের চ্যালেঞ্জ বিধানসভা ছিনিয়ে নেওয়া। সাম্প্রতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে নড়বড়ে অবস্থানে বিজেপি জোট। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বিজেপি। রাজ্যের হাল শেষ পর্যন্ত কার হাতে থাকবে জানা যাবে ২৩ নভেম্বর।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার শাসনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দুই দফায় নির্বাচনের ঘোষণা প্রতিবেশি ঝাড়খণ্ডে। প্রথম দফার নির্বাচন ১৩ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফা ২০ নভেম্বর। প্রথম দফার জন্য় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে ১৮ অক্টোবর। ফলাফল ঘোষণা মহারাষ্ট্রের সঙ্গেই ২৩ নভেম্বর। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের সরকারকে ফেলার মরিয়া চেষ্টায় লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সেখানে হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন ডবল ইঞ্জিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁরই প্রভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে চম্পাই সোরেন (Champai Soren) যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এবার সেই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের আস্থা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren)।