Thursday, August 28, 2025

ভারতে থাকার রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ শেষ, উদ্বেগে তসলিমা

Date:

Share post:

ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে তসলিমা নাসরিনের ভারতে থাকার রেসিডেন্স পারমিট। ২২ জুলাই শেষ হয়েছে তার ভারতে থাকার মেয়াদ।পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন তসলিমা। ইতিমধ্যেই ফোনে ও মেলে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা করেছেন নির্বাসিত লেখিকা।যদিও উত্তর মেলেনি।পুরো বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তসলিমা লিখেছেন, আমি ২০ বছর ভারতে রয়েছি। এমনটা কখনও হয়নি। প্রত্যেকবার পারমিটের মেয়াদ ফুরনোর সঙ্গেই পুনর্নবীকরণ করা হয়। কিন্তু এবারে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি আরও লেখেন, সরকারের কেউই আমার চেনা নয়। আমি কারও সঙ্গে যে যোগাযোগ করবো জানার জন্য যে কেন আমার রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না, তারও উপায় নেই।তিনি লেখেন, ‘যে দেশে জন্মেছিলাম, কিছু সত্য উচ্চারণ করেছি বলে সে দেশ নির্বাসন দিল। যে রাজ্যে ভাষার টানে আর প্রাণের টানে বাস করছিলাম, সে রাজ্যও অজ্ঞাত কারণে নির্বাসন দিল। আর যে শহরে বাস করছি এখন, অন্য কোনও দেশে বাস করার কোনও উপায় নেই বলে, সে শহরও কি অবশেষে তল্পিতল্পা গুটোতে বলবে?

উদ্বিগ্ন তসলিমার কথায়, এই বয়সে এই স্বাস্থ্য নিয়ে আমার আর কোথাও যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। নিজের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলার মধ্যে থাকতে ভালবাসি বলে কলকাতায় ছিলাম। সেখান থেকেও চলে আসতে হল দিল্লিতে। এ বার আমি কোথায় যাব?

প্রসঙ্গত, ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর বেশ কয়েকবছর ইউরোপে ছিলেন তসলিমা। এরপর ২০০৪ সালে তিনি এদেশে চলে আসেন।ভারতেও বেশ কয়েকবার অবস্থান বদলের পর তিনি ২০১১ সাল থেকে দিল্লিতে বসবাস করছেন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণেই কি তার পারমিট রিনিউ করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে? এবিষয়ে তসলিমা জানান, বাংলাদেশ কিংবা সেখানকার রাজনীতির সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি একজন সুইডিশ নাগরিক হিসাবে ভারতে থাকেন। আর বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির অনেক আগে তার পারমিট বাতিল করা হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণ দেখিয়ে তার পারমিট বাতিল করা হয়েছে।








 

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...