Thursday, July 3, 2025

কৃষ্ণনগরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ – খুনে গ্রেফতার প্রেমিক !

Date:

Share post:

লক্ষ্মীপুজোর আগের রাতে কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) বিবস্ত্র অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রেমিককে গ্রেফতার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। নিহত তরুণী কৃষ্ণনগরের আনন্দময়তলা বালকেশ্বরী মন্দির লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা থেকে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। বুধবার ভোররাতে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ প্রেমিক ধর্ষণ করার পর প্রমাণ লোপাট করতেই অ্যাসিড ঢেলে কিংবা আগুন জ্বালিয়ে ছাত্রীর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধৃত প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্য দিকে, মৃতার শেষ ফেসবুক পোস্ট ঘিরেও রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। ওই পোস্টে লেখা, ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী। তোমরা ভাল থেকো।’’ পোস্টটি মৃতা নিজে করেছেন নাকি কেউ তাঁর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

আর জি কর আবহের জেরে যখন ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় প্রতিবাদে মুখর বাংলা তখন কৃষ্ণনগরে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠায় উত্তাল কোতোয়ালি থানা এলাকা।পরিবার সূত্রে খবর, দিদিমা ও মাসির কাছে থাকতেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই তরুণী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। এলাকাবাসী বলছেন পাশের পাড়ায় এক যুবকের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝেমাঝেই তাঁর বাড়ি যেতেন। নাতনি রাতে বাড়ি না ফেরায় নাবালিকার দাদু ওই যুবকের বাড়ি খোঁজ করতে যান। তাঁর অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। এরপর মেয়েটির দেহ উদ্ধারের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছে না পুলিশ। পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে জানান তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে তাই এখনই এই মৃত্যুর কারণ সম্পরকে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।তবে মৃতার শরীরে ‘বার্নিং স্পট’ (পোড়া দাগ) ছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, কৃষ্ণনগরের ঘটনা কুৎসিত সামাজিক অপরাধ। পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু এটা নিয়ে বিরোধীরা যেভাবে রাজনীতি করতে চাইছে সেটা নিন্দনীয়। তিনি বলেন পরিবারের লোকেরা যখন বলছেন এই ঘটনায় প্রেমিক অভিযুক্ত এবং সেইমতো পুলিশ ব্যবস্থাও নিয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে যদি কিছু হয় তাহলে তো আর ম্যান টু ম্যান পুলিশ দিয়ে তা আটকানো যাবে না। বিজেপির ঘোলা জলে রাজনীতি করাকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় তো সর্বভারতীয় বিজেপি দলের নেত্রী, তাহলে তিনি বদলাপুর বা মনিপুরে যখন নারী হেনস্থা হয় সেখানে যান না কেন?

 

spot_img

Related articles

কেন রুদ্ধদ্বার শুনানি? বিজেপির ‘ধর্ষকবন্ধু’ কার্তিক মহারাজের জবাব চাইল হাই কাের্ট 

ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশি তলবে সাড়া না দিয়ে গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন বিজেপির ‘ধর্ষকবন্ধু’ কার্তিক মহারাজ। বিচারপতি জয়...

বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের হুমকির অভিযোগ! বিজেপি নেতা কৌস্তভকে নোটিশ থানার 

ওয়্যারলেস মোড় লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীমৃত্যু ঘিরে অশান্তির আবহে বিজেপি নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে ‘হুমকি‑হেনস্তা’র...

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির লক্ষ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট! পুরুলিয়ায় রাজ্যের বিশেষ প্রকল্প

আন্তর্জাতিক বাজারে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট (Black Bengal Goat)-এর স্বাদ ও গুণমানের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে এবার বড় পদক্ষেপ নিল...

১৭ দিনে সাতটি ধর্ষণ! বিজেপি রাজ্য ওড়িশায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ দুই যুবকের 

ওড়িশায় ফের নারীনিগ্রহের ঘটনা। জাজপুর জেলার বৈরি থানার ভালুখাই জঙ্গলে ছাগল চরাতে গিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে দুই দুষ্কৃতীর হাতে...