ভাইজানের ফার্ম হাউসের সামনেই খুনের পরিকল্পনা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের! মুম্বই পুলিশের চার্জশিটে চাঞ্চল্য

পাশাপাশি সলমন খানের প্রতিদিনের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য ৬০-৭০ জনের দল রাখা হয়েছিল, যারা সব সময় 'ভাইজান'- এর ওপর নজর রাখত।

বলিউডের ভাইজান তথা সলমন খানকে খুনের পরিকল্পনা বিষ্ণোই গ্যাং -এর এবং তা নিয়ে মুম্বাই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য। বৃহস্পতিবার মুম্বই নভি পুলিশ তাঁদের চার্জশিটে জানায়, ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল এক ভাড়াটে খুনিকে এবং একে-৪৭, একে-৯২ এবং এম-১৬ বন্দুক আনানো হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। শুধু তাই নয়, অভিনেতাকে তার খামারবাড়ির সামনেই খুনের পরিকল্পনা করা হয় বলাও জানানো হয়েছে চার্জশিটে।

মুম্বই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে রয়েছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। জানা গিয়েছে, ২০২৩ এর অগস্ট থেকে ২০২৪ এর এপ্রিলের মধ্যে সলমনকে খুনের পরিকল্পনা করে বিষ্ণোই গ্যাং। আর তার জন্য ৫জন ভাড়াটে খুনিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের বয়স ১৮বছরের নিচে এবং এই খুনিরা পুণে, রায়গড়, নভি মুম্বই, ঠানে এবং গুজরাটে লুকিয়ে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি সলমন খানের প্রতিদিনের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য ৬০-৭০ জনের দল রাখা হয়েছিল, যারা সব সময় ‘ভাইজান’- এর ওপর নজর রাখত।

এরই পাশাপাশি বলা হয়েছে, যে বন্দুকটি পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল সেটি ছিল তুরস্কের তৈরি জিগানা বন্দুক। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বন্দুকই ব্যবহার করা হয় পাঞ্জাবের বিখ্যাত গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের জন্য। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার হরিয়ানার পানিপথ থেকে গ্রেফতার হয় সুখা নামের এক দুষ্কৃতী। যিনি অভিনেতা সলমনকে খুনের জন্য শুটার অজয় কাশ্যপ ওরফে একে এবং আরও চারজনকে দায়িত্ব দিয়েছিল। কাশ্যপ এবং তাঁর দল সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে সলমন খানের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা এবং বুলেটপ্রুফ গাড়ির কারণে উচ্চমানের অস্ত্রের প্রয়োজন। সুখা ভিডিও কলের মাধ্যমে পাকিস্তানি অস্ত্র ব্যবসায়ী ডোগারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানেই অস্ত্র চুক্তির শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করার সময় শালে মোড়ানো একে-৪৭ এবং অন্যান্য উন্নত অস্ত্র দেখানো হয়। ডোগার অস্ত্র সরবরাহ করতে রাজি হন আর সুখা অর্ধেক অগ্রিম টাকা দিতে সম্মত হন।

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৫৮ বছর বয়সী সলমনকে খুনের পরে কন্যাকুমারীতে জড়ো হওয়ার জন্য শুটারদের একটি পরিকল্পনার বিবরণও রয়েছে। যেখান থেকে তারা নৌকায় করে শ্রীলঙ্কায় যাবেন এবং তারপরে এমন একটি দেশে যাবেন যেখানে ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলো কার্যকরী নয়। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গুলি করে হত্যা করা হয় সলমনের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকিকে, যার দায়ভার নিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। এ ঘটনার পর থেকে আরও জোরদার করা হয়েছে অভিনেতার নিরাপত্তা। তবে এদিন মুম্বই পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে পর চিন্তায় সালমান ভক্তরা।